স্টাফ রিপোর্টার : হেপাটাইটিস একটি নীরব ঘাতক। যা মানুষকে তিলেতিলে শেষ করে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় একজন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু তিনি এর সিমটম বুঝতে পারছেন না। পরে দেখা যায় শেষ সময়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। আর এই রোগে চিকিৎসার জন্য কি পরিমাণে খরচ করতে হয় তার হিসাব নেই। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে আরও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্ট্রারোলজি সোসাইটির উদ্যোগে এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসমএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান। সেমিনারে ‘আপডেট অন ম্যানেজমেন্ট অফ ক্রনিক হেপাটাইটিস সি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র গ্যাস্ট্রোএন্ট্রারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ।
সভায় আলোচকরা জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। আর এই সংখ্যা প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন। তারা আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীকে হেপাটাইটিস মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমাদের দেশের পক্ষেও তা অর্জন করা সম্ভব। এ দেশে হেপাটাইটিস প্রতিরোধের ভালো ওষুধ তৈরি হচ্ছে। যা অল্প টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে বিএসএমএমইউ’র বটতলা থেকে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০১৭ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। ‘এলিমিনেট হেপাটাইটিস’ বা ‘২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে ভাইরাসজনিত লিভার রোগ নির্মূল’ শীর্ষক র্যালিতে ভিসি ডা. কামরুল হাসান খান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি ( গবেষণা ও উন্নয়ন) ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. প্রজেশ কুমার রায়, ডা. এ এস এম এ রায়হান, ডা. চঞ্চুল কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন