পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং স্রোতের তীব্রতায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একই কারণে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার ৩য় দিনের মতো বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। ফলে পুরো ফেরিঘাট এলাকায় বিরাজ করছে এখন সুনসান নিরবতা। এতে বিপাকে পড়েছেন চলাচলকারী যাত্রী ও ফেরিঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে স্রোতের গতি ও চাপ। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মা নদী অতিক্রম করতে গিয়ে প্রবল স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিগুলো। দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একই কারণে গত তিন দিন ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে দেখা গেছে, ফেরিঘাট এলাকা জনশূন্য। ঘাটে থাকা খাবার হোটেলের বেশিরভাগই বন্ধ করে চলে গেছে মালিকরা। চায়ের দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। মাঝে মধ্যে দুই-একটি ব্যক্তিগত যানবাহন ঘাটে ভুলক্রমে চলে আসতে দেখা গেছে। এদিকে লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চগুলো। অবশ্য ছুটির দিনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে বলে লঞ্চঘাটের কর্মরতরা জানিয়েছে। ফেরিঘাটের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া বলেন, ভেবেছি আগামী ২৫ জুনের আগ পর্যন্ত ব্যবসায় করতে পারবো। কিন্তু তার আগেই ফেরি বন্ধ হয়ে গেল। ফেরি বন্ধ মানে আমাদের ব্যবসায়ও বন্ধ। সেতু চালু হলে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু স্রোতের কারণে আগে থেকেই ফেরি বন্ধ হওয়ায় এখনই ব্যবসা থেমে গেল।
এদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি বন্ধ রাখা হলেও বিকল্প নৌরুট হিসেবে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলছে। বাংলাবাজার ঘাটের ফেরিগুলো মাঝিরকান্দি রুটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্রোতের কারণে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে এ নৌরুটে। তবে মাঝিরকান্দি-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন