চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথা থাকলেও, তথ্য সংগ্রহকারীরা তা না করার অভিযোগ উঠেছে। নিজ কর্মস্থল, চায়ের দোকান, হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জ কোন এক স্থানে বসে হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে।
জানা যায়, গত ২০ মে থেকে লোহাগাড়ায় ভোটার হালনাগাদ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ২ জুন ২০২২ ইং। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও কোন এক জায়গায় বসে দায়সারাভাবে ভোটার হালনাগাদের কার্যক্রম করা হয়। অনেকে দিনের পর দিন ঘুরেও ভোটার হালনগাদের ফরম পায়নি। প্রয়োজনের তুলনায় ভোটার ফরম সরবরাহ না থাকায় এমন ভোগান্তি হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভুগী লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কায়সার হামিদ বলেন, আমার স্ত্রী তছলিমা আক্তারকে একটি দোকানে এসে ভোটার ফরম পূরণ করতে হয়েছে। লোহাগাড়ার আরেক ব্যক্তি সেলিম উদ্দীন বলেন, আমাকে তথ্য সংগ্রহকারী ৩-৪ দিন ফরমের জন্য ঘুরানোর পর বলেন ফরম শেষ হয়ে গিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে আবার করা হবে বলেছেন। আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মফিজ বলেন, আমার মেয়ের জন্য নিজ খরচে আমাকে অনলাইন থেকে ফরম বের করতে হয়েছে এবং হয়রানির শেষ নাই।
জানা যায়, একটি ফরম বের করতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত লাগে। যা অনেক গরীব মানুষের জন্য কষ্টকর। এ ব্যপারে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী আব্দুল জাব্বারকে জানালে তিনি বলেন, চায়ের দোকানে কিংবা অন্য কোথাও বসে তথ্য সংগ্রহ করিনি, প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদ্দাম হোছাইন রুমান খান জানান, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ভোটারের সাড়ে সাত শতাংশ হালনাগাদ করা হবে। সেই অনুযায়ী লোহাগাড়া উপজেলার জন্য দুই ধাপে বিশ হাজার ফরম পেয়েছি। আগামী জানুয়ারি ২০২৩ সালে আবার ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম আরম্ভ হবে। এখন ফরম সংকটের কারণে যারা ভোটার হতে পারেন নি জানুয়ারিতে তাদের হালনাগাদের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়াও যে সব তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন