কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীনারায়ণকান্দি গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার লোকজন চলাচল করেন। স্থানীয়রা জানান, দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
জানা যায়, উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি পাকারাস্তা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীনারায়ণকান্দি গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার অবহেলিত এই কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও নেই পাকাকরণের কোন উদ্যোগ। সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়ে যায়। পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে এ রাস্তাটি যানবাহনসহ মানুষেরও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত, অসুস্থ রোগীকে হসপিটাল ও বিভিন্ন মালামাল আনা নেয়া করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে তাদের ভোগান্তি ও ব্যয় দু’টিই বাড়ে।
এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকেন।
উত্তর শ্রীনারায়ণ কান্দি গ্রামের রুস্তম মোল্লা বলেন, দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ সড়কটি পাকাকরণের কোন উদ্যোগ নেই। এতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। যদি রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করা হয় তাহলে আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং এলাকাবাসী উপকৃত হবে। আমরা দ্রুত এই রাস্তাটি পাকাকরণ করার দাবি জানাই।
রিকশাচালক সুমনসহ কয়েকজন জানান, গাজীপুর ও বাতাকান্দি বাজার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীনারায়ণ কান্দি গ্রামে যেতে হলে অনেক কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। যাত্রী নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা। বর্তমানে রাস্তার যে বেহাল দশা দ্রুত পাকাকরণ করা না হলে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরবে। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ করার জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য পাভেল মাহমুদ বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা আমি এবার প্রথম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি এবং বাজেট করে অনুমোদনের জন্য সব কাগজপত্র উপজেলায় জমা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছর মধ্যে দ্রুতই এই রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে। এছাড়াও ২-৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণ শ্রীনারায়ণ কান্দি ব্রিজ হতে কুয়েতী জামে মসজিদ পর্যন্ত ২০০ মিটার সিসি ঢালাইর কাজ শুরু করবো।
এ প্রসঙ্গে তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, বৃষ্টির পানির কারণে রস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই লোকজন চলাচলের অনেকটাই ভোগান্তি হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি পাকাকরার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন