শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ছে পলিব্যাগ, নীরব কর্তৃপক্ষ

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোটা গোদাগাড়ী পৌরসভা ও উপজেলাজুড়ে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। হাট-বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব পলিথিনে। প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন-শপিংব্যাগ। প্রতিদিন ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে শত শত কেজি পলিথিন। নিষিদ্ধ পলিথিন শপিংব্যাগে উপজেলা সদরসহ গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার এখন সয়লাব হয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে এসব পলিথিন-শপিংব্যাগ। উপজেলার সদর কিংবা বরেন্দ্র অঞ্চল, গ্রামেও প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার বেআইনি এসব পলিথিন। এতে চরম ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও প্রাণীকুলের। কোথায় নেই পলিথিন? কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, অন্যান্য খাবার এমনকি প্রসাধনীসহ কিছু কিনলেই পলিথিনের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দোকানিরা। আর অবাধ পলিথিনের ব্যবহারের কারণে এখন আর কেউ চট বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহারই করছে না। এর প্রভাবে পাটশিল্প দিনে দিনে ধ্বংস হচ্ছে, পাটের দাম না পাওয়ার ফলে পাটচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষক। এছাড়া সরকারিভাবেও এখন আর পলিথিনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। মহিশালবাড়ী, হাটপাড়া, গোদাগাড়ী, হাটপাড়া রেলগেট, রেলবাজার প্রভৃতি মুদি দোকানদারদের সাথে পলিথিন বিক্রির ব্যাপারে কথা বললে তারা জানান, গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী মহল্লার মৃত ইয়াসিন শাহ ছেলে আমজাদ শাহ ইসাহাক ডাক্তারের মার্কেটে একটি গুদাম ভাড়া নিয়ে রাজধানী শহর ঢাকা থেকে সপ্তাহে হাজার হাজার কেজি পলিথিন গুদামজাত রেখে আমাদের দোকানে বিক্রি করে যায়, তাই আমরা গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করি। সে তো বলে আমার পলিথিনের বৈধ লাইসেন্স আছে আমরা কি করব বলেন? তারা বলেন, আমাদের দোকানে মোবাইলকোর্ট আসে অন্য ব্যাপারে হাজার হাজার টাকা ফাইন করেন কিন্তু প্রকাশ্যে পলিথিন বিক্রি করলেও নিষেধ করেন না। এদিকে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি, এনজিওদের অনুষ্ঠানের খাবারও প্যাকেট করা হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগে। জানা যায়, ১৯৮২ সালের দিকে শুরু হয় পলিথিন শপিং ব্যাগের প্রচলন। ব্যবহারে সুবিধা এবং স্বল্পমূল্যের কারণে দ্রুত ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় পলিথিন ব্যাগ। ওই সময় পলিথিনকে মানুষ ভালো মনে করলেও এখন এটাকে মারাতœক ক্ষতিকারক হিসেবে দেখছেন। ব্যবহার যেমন বাড়তে থাকে তেমনি ধীরে ধীরে পলিথিন যে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তা প্রকাশও হতে থাকে। এভাবেই সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়। এটাকে আইন করে নিষিদ্ধ করা হলেও বর্তমানে দিন দিন ব্যবহার বাড়ছে ফলে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাবতো পড়ছেই, গোটা ড্রেনেজ সিস্টেমকে বন্ধ করে দিচ্ছে, বাড়ছে জলাবদ্ধতা এবং জনস্বাস্থ্যের ওপরও সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক হুমকি। দ্রুত কমে যাচ্ছে জমির হিউমাস নষ্ট হয়ে উর্বরতা কমে যাচ্ছে এবং কমছে ফসলের উৎপাদন। সচেতন মহল অবাধে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি বন্ধে সরকারের ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন