ফেসবুকে আমার তরুণ বন্ধুরা মনের দুঃখে লিখছেন, ‘পৃথিবীতে খ্রিস্টানদের বিপদে রয়েছে পশ্চিমা দুনিয়া অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপ, হিন্দুদের জন্য রয়েছে ভারত, বৌদ্ধদের জন্য রয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু মুসলমানদের জন্য কেউ নাই। তাদের বিপদে কেউ এগিয়ে আসে না, ওআইসি বা মুসলিম জাহান, কেউ না। এসব কথা বলা হয়েছে বার্মায় জাতিগত নির্মূল অভিযান দেখে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেই অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারী মিলিটারি এবং রাখাইন বৌদ্ধরা।
এই বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কথা বললেও নাকি সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়। এটি আমাদের কথা নয়। এটি ইমরান সরকারের কথা। সেই ইমরান সরকার যিনি গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ছিলেন (হয়তো এখনো আছেন)। এই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনাদের কাছে নতুন করে বলার কোনো অবকাশ নেই। সেই ইমরান সরকার গত ১৮ নভেম্বর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “বার্মায় রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ জাতিগত নিপীড়ন চলছে। রোহিঙ্গাদের পুরোপুরি নির্মূল করতে বার্মিজ সরকার দীর্ঘদিন থেকেই সেখানে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এই জঘন্য হত্যাকা- ও জাতিগত নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের ওপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং বার্মিজ সরকারের এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সারা বিশ্বের কাছে উন্মোচন করা।”
এর উত্তরে তথাকথিত প্রগতিবাদীরা ইমরানকে কি বলেছিল সেটিও ইমরানের পরবর্তী স্ট্যাটাসে পাওয়া যায়। এই স্ট্যাটাসটিও তিনি দিয়েছেন ১৮ নভেম্বর। এখানে তিনি লিখেছেন, “বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও মতের এত এত মানুষের পক্ষে এত দিন ধরে কথা বলেও কখনো সাম্প্রদায়িক ট্যাগ পাইনি। অথচ রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার সাথে সাথেই ‘সাম্প্রদায়িক’ ট্যাগ পেলাম! এর আগে প্যালেস্টাইনের পক্ষে ‘ঢাকা প্রোটেস্ট’ করায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত একজন বিদেশি সাংবাদিক আমাকে বলেছিল, ‘তুমিও দেখছি মোল্লাদের মতো’! হায়রে মানবতা! আক্রান্ত মানুষেরা মুসলমান বলেই কি এমন দৃষ্টিভঙ্গি? এই মানবতাবাদ নিয়ে আমি গভীরভাবে শংকিত এবং লজ্জিতও বটে!” প্রিয় পাঠক, এটি আমাদের কথা নয়, এটি গণজাগরণ মঞ্চের নেতার কথা। তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ওই সেক্যুলারদের আসল মতলব এবং দেখেছেন, ওদের মধ্যে থাকলেও যে মুহূর্তে তার মুখ থেকে ইসলাম বা মুসলমানদের সুরক্ষার কথা বলা হয় সেই মুহূর্তেই বক্তার গায়ে সাম্প্রদায়িকতার তকমা এঁটে দেয়া হয়।
ইমরান সরকার ফেসবুকে উপরোক্ত স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য যদি সাম্প্রদায়িক আখ্যা পান তাহলে বাংলাদেশের ৩২ জন বিশিষ্ট নাগরিককে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিতে হবে। কারণ ওরা আজ থেকে ৪ বছর আগে ২০১২ সালে বিপন্ন রোহিঙ্গাদেরকে একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই আবেদনে বলা হয়েছিল, “এই দাঙ্গার যারা শিকার (বিবৃতির ভাষায় ভিকটিম) হয়েছেন তারা উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন এবং বাংলাদেশে আশ্রয় চাচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, “আমাদের গৌরবময় ইতিহাস এই বিবৃতি দিতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, মানবাধিকার অবিভাজ্য। এক দেশে কোনো জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার যদি লঙ্ঘিত হয় তাহলে সেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের যারা শিকার হয় তাদের দুঃখ-দুর্দশা ভাগাভাগি করার দায়িত্ব অন্য দেশের, বিশেষ করে সেই দেশটি যদি প্রতিবেশী হয়।” বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “আমরা এ কথা স্মরণ করছি যে, জাতি হিসেবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের নিকট থেকে আমরা অনুরূপ সুবিধা ভোগ করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা দেখছি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ উদ্বাস্তু মাইগ্রেশন। যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে গিয়েছিলেন তারা ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী।” বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেনÑ “অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাজা দেবাশীষ রায়, ড. রওনকজাহান, অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ড. হামিদা হোসেন, ড. শাহদীন মালিক, ড. ইফতেখার উজ্জামান, প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ, কামাল লোহানী, শাহীন রেজা নুর, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রমুখ।” বিবৃতিটি ছাপা হয়েছে ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য পত্রিকায়, ২০১২ সালের ১৭ জুন রবিবার।
পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্যাতিত জাতিগোষ্ঠী হলো রোহিঙ্গা মুসলমান। অহিংসা এবং শান্তি যাদের ধর্ম সেই বৌদ্ধরা মুসলমানদেরকে শত শত নয়, হাজারে হাজারে ঠা-া মাথায় হত্যা করছে। অথচ তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস সাবেক বার্মা এবং বর্তমানের মিয়ানমার প্রদেশের অন্তর্গত আরাকান প্রদেশে। এর আরেকটি নাম রাখাইন স্টেট। এই আরাকান প্রদেশের একটি জেলা হলো আকিয়াব। আরাকান প্রদেশের অভিন্ন সীমান্ত হলো বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ওপর যখন মিলিটারি এবং বৌদ্ধরা সম্মিলিতভাবে হামলা চালায়, রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে যখন ম্যাসাকার করে, যখন চলে তাদের ওপর গণহত্যা, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা আশ্রয় নিতে চায় প্রতিবেশী বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও তাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। রাতের আঁধারে জঙ্গল দিয়ে, পাহাড় ডিঙিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওরা বাংলাদেশে ঢুকলেও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদেরকে পাল্টা ঠেলে পাঠিয়ে দেয় মিয়ানমারী মিলিটারি ও পুলিশ হায়েনাদের হাতে। ২০১২ সালে এটা ঘটেছিল। ৪ বছর পর ২০১৬ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। মেরে কেটে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে পুশব্যাক করছে। অথচ বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভাগ্য বিড়ম্বিত মজলুম রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদেরকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত। ইসলামী ঐক্য ও সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের সুখ-দুঃখ তারা ভাগ করে নিতে চায়। কিন্তু তাদেরকে ঠেলে তাদের হন্তারকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অথচ ইতিহাস বলে যে, ১৮২৬ সালের পর ব্রিটিশরা যখন আরাকান রাজ্য তথা রাখাইন প্রদেশ দখল করে তখন সেখানে জনসংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। এতই কম যে, কৃষি জমিতে কাজ করার মতো কৃষক বা শ্রমিকও খুঁজে পাওয়া যেত না। তখন প্রতিবেশী বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে বাঙালি মুসলমানদেরকে আরাকান তথা বার্মায় মাইগ্রেট করার জন্য উৎসাহিত করা হতো। এভাবে হাজার হাজার এবং পরবর্তীতে কয়েক লাখ বাঙালি আরাকান রাজ্যে বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীতে কালক্রমে এবং বংশানুক্রমে তাদের সিংহভাগ রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। অবশ্য এ কথাও ঠিক যে, রোহিঙ্গাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাংশটির অরিজিন বার্মার অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত মানুষদের বংশধর। সুতরাং বাংলাদেশের প্রতি রোহিঙ্গাদের একটি আবদার থাকা স্বাভাবিক। তাদের আপদে বিপদে বাঙালি মুসলমানরা এগিয়ে যাবে সেটিই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন চূরমার হয়ে গেছে।
২০১২ সালে যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সামরিক জান্তা এবং বৌদ্ধদের সম্মিলিত আক্রমণ হয় তখন তারা বাংলাদেশে এসে বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে তখন তাদের কোনো ঠাঁই হয়নি। ওই সময় আমি সৌদি আরব ছিলাম। ফিরে এসে পত্র-পত্রিকায় যা দেখি তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিরোনাম আপনাদের খেদমতে পেশ করছি। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ/বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা প্রশ্নে নিষ্ঠুর নীতি গ্রহণ করেছে’ (বিবিসি, ২৭/০৮/১২), ’France calls for Bangladesh U-turn on Rohingya regugees’ (New Age, 04/08/12),, ‘সরকারের উদ্দেশ্যে আমেরিকান প্রতিনিধি দল/রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিন’ (নয়া দিগন্ত, ১৪/০৯/১২), ‘Human Rights Watch/Bangladesh : Assist, protect Rohingya regugees (Daily Star, 25/08/12), Nowhere to go-the Rohingya (New Age, 15/09/12), The persecuted Rohingyas : India’s role (Daily Star, 25/08/12), UN urges Dhaka to ease block on Myanmar refugees (New Age, 16/06/12), Let Myanmar refugees in/32 eminent citizens appeal to PM (Daily Star,17/06/12), ÔProvide safe haven for refugees/UN urges Bangladesh again (Daily Star, 16/06/12), Opening doors to Rohingyas : duty, not charity (New Age, 20/06/12), ‘মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রোহিঙ্গা মুসলিমরা/নিজ দেশে গণহত্যার শিকার, বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ’ (আমার দেশ, ১৫/০৬/১২)। এই ধরনের শতাধিক পেপার ক্লিপিং আমার সংগ্রহে রয়েছে। একটি নিবন্ধে এত রেফারেন্স দিলে নিবন্ধটি রেফারেন্সের ভারে আক্রান্ত হয়ে যাবে।
কোথায় যাবে রোহিঙ্গা মুসলমানরা? তাদের জন্য পানিতে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। তাদের আশ্রয় দেয়ার কেউ নেই, তাদের জন্য ক্রন্দন করার কেউ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদিদের যখন ইউরোপ বিশেষ করে জার্মানি থেকে বিতাড়িত করা হয় তখন রাশিয়া আমেরিকাসহ সা¤্রাজ্যবাদী ও কমিউনিস্টরা ইহুদিদেরকে রক্ষা এবং পুনর্বাসিত করার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাজার বছরের মুসলমানদের আবাসভূমি ফিলিস্তিনের একটি অংশে বিষফোঁড়ার মতো সৃষ্টি করা হয় ইসরাইলের। ইসরাইলই একমাত্র ধর্মরাষ্ট্র যেটি শুধুমাত্র ইহুদিদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অবশ্য শিবাজী হিন্দুদের জন্য একটি ধর্মরাষ্ট্র সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। শিবাজীর মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই। আগে নাম ছিল বোম্বে। বিজেপির (নরেন্দ্র মোদির দল) প্রথম মেয়াদে বোম্বের নাম পরিবর্তন করে হিন্দু দেবী “মুম্বাইয়ের” নামানুসারে নতুন নাম রাখা হয় মুম্বাই। ছত্রপতি শিবাজীর স্বপ্ন আংশিক সফল হয়েছিল। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে সফল হয়নি। তবে তার আরাধ্য কাজ করছে কট্টর হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাবাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল, শিবসেনা প্রভৃতি। সেদিনের শিবাজীর বর্তমান প্রতিভূ হলেন বাল ঠেকারে। বাল ঠেকারের মৃত্যুর পর তার আরাধ্য কাজ সমাপ্ত করছেন তার সাঙ্গপাঙ্গরা। মারাঠিদের পরেই শিবাজীর আদর্শের অনুসারী হয় গুজরাটিরা। সেই গুজরাটি নরেন্দ্র মোদি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
॥ দুই ॥
২০১২ সালে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশ সরকার এসব আবেদনে কর্ণপাত করেনি। এবারও জাতিসংঘ অনুরূপ আবেদন জানিয়েছে। এই আবেদন করা হয়েছে ১৮ নভেম্বর। এ সংক্রান্ত বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য বাংলাদেশ যেন নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে সে সম্পর্কে বলেছে সংস্থাটি। এদিকে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে আজ আরো তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। মিয়ানমারের সরকারকে সেখানে মানুষদের নিয়ম অনুযায়ী রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১২ সালে যে ৩২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় লাভের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ওই বিবৃতিদাতাদের মতো আমরাও এ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিপন্ন রোহিঙ্গাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন