নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে তথ্য প্রযুক্তি আইনে জেলহাজতে থাকা নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাসনুবা রহমান মিতুর হার্ট অপারেশনের অভিনব প্রতারণার ফাঁদ ভেস্তে গেল। নাটোর পৌরসভার কানাইখালী এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ ভুট্টু জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে এসআই মামুন পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, জেলখানায় থাকা মিতু মারাত্মকভাবে হার্ট এ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে পরেছে। তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে রাখা হয়েছে। আধঘণ্টার মধ্যেই তার হার্ট অপারেশন করা না হলে তাকে বাঁচনো যাবে না। অপারেশনের জন্য মোট খরচ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে নাটোর কারা কর্তৃপক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে আর অবশিষ্ট ৬০ হাজার টাকা তার পরিবারকে জমা দিতে হবে। এ ব্যাপারে মামুন পরিচয়দানকারী ব্যক্তি বিয়ষটি কানাইখালীতে বসবাসরত মিতুর পরিবারকে দ্রুত জানানোর জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর ভুট্টুকে অনুরোধ করে। ভুট্টু তাৎক্ষণিক মিতুর বাবা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমানসহ পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় কথিত মামুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সার্জন অধ্যাপক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সাথে ভুট্টু এবং মিতিুর বাবার সাথে কথা বলিয়ে দেয়। তিনিও হার্ট অপারেশন করার খরচ হিসেবে দ্রুত ৬০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। বাড়ির লোকজন টাকাসহ রাজশাহী যেতে চাইলে অত সময় দেয়া যাবে না বলে তাদের যেতে বারণ করে হাসপাতালের রিসিপশনে থাকা একজনের বিকাশ নম্বরে ওই টাকা পাঠাতে বলা হয়। এ সময় তিনজনের গলার স্বরই এক রকম হওয়ায় ভুট্টুসহ পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা নাটোর থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন নাটোরে মামুন নামে কোন এসআই নেই। এর কিছুক্ষণ পরে ওইসব মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে মিতুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তার পরিবারের লোকজন জেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন মিতু সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় নাটোর জেল খানায় রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন