কেতুগ্রাম কান্ডে আক্রান্ত তরুণী রেণুর পাশে থাকার আশ্বার মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন যে, হাত কাটা যাওয়ায় অন্য কাজে রেণুকে লাগানো হবে। পাশাপাশি রেণুর কৃত্রিম হাত লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওর জন্য ৩টা কাজ করছি। এক, যে কাজটা ও করতে পারবে, সেই কাজটাই ওকে করতে দেওয়া হবে। দুই, যে হাতটা কেটে দিয়েছে সেখানে আর্টিফিসিয়াল হাতের ব্যবস্থা করব। তিন, ও যেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল, সেখানে ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। সেটা আমরা দিয়ে দেব। ওর স্বাস্থ্যসাথী থাকা সত্ত্বেও সেটা ওরা নেয়নি। কেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হয়নি? সেটা মুখ্যসচিবকে দেখতে বলেছি।
স্ত্রী রেণু সরকারি নাসেআ চাকরি পাওয়া পছন্দ হয়নি স্বামী সফিরুল শেখের। তাই স্ত্রী যাতে কাজে যোগ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে, নিরাপত্তাহীনতা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় কবজি থেকে রেণুর ডান হাত কেটে নেয় সফিরুল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সরিফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে শ্বশুর ও শাশুড়িকেও। ২০১৭-র নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেণু খাতুনের। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ করতেন রেণু। পরে আরজিকর থেকে নার্সিংয়ের ট্রেনিং নেন তিনি। তারপরই সরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের চাকরি পান রেণু।
উল্লেখ্য, রেণুর চাকরি নিয়ে আগেই আশ্বাস মিলেছে স্বাস্থ্য দফতরের। রেণু খাতুনের সুস্থ হয়ে ওঠার দিকে তাকিয়ে স্বাস্থ্যভবন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার যাতে চাকরি পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু তার ডিজ্যাবিলিটি কতটা হয়েছে, তা দেখে নেওয়া হবে। বিবৃতি দিয়ে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সূত্র : জি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন