তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী জ্ঞানের চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে বড়াইগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মসজিদ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘প্রত্যেক জেলা এবং উপজেলাতে ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ’ প্রকল্পের আওতায় নাটোরে জেলা পর্যায়ে একটি এবং উপজেলা পর্যায়ে সাতটি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সিংড়া উপজেলা মডেল মসজিদের অর্ধেকের বেশী কাজ সম্পন্ন হয়েছে। লালপুর উপজেলা মসজিদের কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক। কাজ শুরু হয়েছে বাগাতিপাড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলা মসজিদের।
৪৩ শতাংশ জমির উপরে বড়াইগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদ এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মোট ২৩ হাজার ৪০০ বর্গফুট আয়তনের নীচতলায় আছে গাড়ী পার্কিং, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, বই বিক্রয় কেন্দ্র, ডাইনিং, গণশিক্ষা কার্যক্রম কার্যালয়, অটিজম কর্ণার এবং মরদেহ গোসলের স্থান। সাত হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের দো’তলায় আছে নামাজের জায়গা ছাড়াও ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়। একই আয়তনের তৃতীয় তলাতে নারী ও পুরুষের পৃথক নামাজের জায়গা, সভাকক্ষ এবং লাইব্রেরী। মসজিদে ৯০ ফুট উচ্চতার একটি মিনার এবং চারটি গম্বুজ রয়েছে।
নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব বাসস’কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৬ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাথে সাথে মসজিদটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট হস্তান্তরিত হবে।
কার্যক্রম শুরু হলে বড়াইগ্রাম উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একটি রিসোর্স সেন্টার হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক আবুল কাশেম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন