অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ জন ও আহত হয়েছে ৫ জন। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে ট্রাক ও সিএনজি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৬ জন। জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ থেকে সিএনজিযোগে দুর্গাপুর আসার পথে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের তারাকান্দা উপজেলার গাছতলা নামকস্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৫ জন ও সিএনজি চালকসহ ৬ জন নিহত হয় ও এক শিশু আহত হয়। নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামের নূরুল ইসলাম ছোট্টু মিয়ার ছেলে পান্না মেহেদী মনির (৪০), পুত্রবধূ পপি আক্তার (৩৫), ছোট ছেলের স্ত্রী আয়শা আক্তার (৩০), মেয়ে অসমা খাতুন (২৫), নাতনী মিম (৭) ও সিএনজি চালক আবুল মিয়া। এ সময় গুরুত্বর আহত ছোট্টু মিয়ার আরেক নাতনী ১৮ মাসের শিশু হৃদয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় ট্রাক চাপায় নায়েব আলী (৪৫) নামে এক করিমন চালক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। গতকাল (সোমবার) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নায়েব আলী উপজেলার আজিমপুর ডিলু নগরের তৈয়জ উদ্দিনের ছৈলে। ঈশ্বরদী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) গণেশ চন্দ্র ম-ল জানান, সকালে বালু বোঝাই একটি ট্রাক পাকশী থেকে পাবনায় যাচ্ছিল। পথে কালিকাপুর এলাকায় ট্রাকটি যাত্রীবাহী একটি করিমনকে (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহন) চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই করিমন চালক নায়েব আলী মারা যান ও আহত হন আরও ৪ যাত্রী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বালুর ট্রাক পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ট্রাক চালক পলাতক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন