সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা দশঘর ইউনিয়নের পীরেরবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মাসুক মিয়া ও তার বাহিনীর হামলার গত ২৮ মে রাতে গুরুত্বর আহত হন শেখ গয়াছ মিয়া। প্রায় ৭দিন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩ মে সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। এ ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মাজেদ আহমদ (২৩)। শেখ গয়াছ মিয়ার দাফনের ৪ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার হয় মামলার প্রধান আসামি মাসুক মিয়া। এরপর থেকে আর কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নেতা শেখ গয়াছ মিয়ার খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে গত শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। পীরেরবাজারে দশঘর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগণের ব্যানারে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৩ মে রাতেই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এক সপ্তাহের পেরিয়ে গেলেও আর কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি। তাই দ্রুত সকল আসামিকে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
স্থানীয় বাউসি গ্রামের মুরব্বি মাস্টার নোমান আহমদের সভাপতিত্বে ও দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ শাহানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দশঘর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী, তৈমুছ আলী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, ইস্টলন্ডন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক টুনু মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত হোসেন, যুবলীগ নেতা শাহ কামাল উদ্দিন, নিহতের ভাই মো. সুন্দর আলী, ছাত্রলীগ নেতা শেখ সেবুল ও মাছুম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন