রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম খান হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য ও আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু ও যুবলীগ নেতা শাহ আলমসহ ৪ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। আদালত সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় আসামিরা ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক রুবাইয়া আমিন এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলায় গত ১৯ নভেম্বর সন্দেহভাজন গ্রেফতারকৃত ফারুক মুন্সি ও মোতালেব মোল্লা ওরফে বাদশাহ মোল্লাকে তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। আত্মসমর্পণকৃতরা হল- রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মামলার প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ২ নং আসামি শাহ আলম হাওলাদার, তারাবুনিযা গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির ও মান্নান ফরাজী। গত ১৪ নভেম্বর ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল হক খানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুস সালাম খান তার প্রতিষ্ঠিত কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক মরিয়ম আক্তার মুক্তার সাথে টাকা-পয়সার লেনদেন বিষয়ে ওই শিক্ষিকার বাড়ি রাজাপুরের তারাবুনিয়া গ্রামের বকুলতলা এলাকায় আসেন। এসময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা তাদের দেখে মুক্তিযোদ্ধার সাথে শিক্ষক মুক্তার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাকে বাগানে ডেকেছে এমন অপবাদ দিয়ে প্রথমে বকুলতলায় বসে মারধর করা হয় এবং পরে আমতলা বাজারে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু ও শাহ আলমসহ তাদের সহযোগীরা বেধড়ক মারপিট করা হয় এবং পরবর্তীতে রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছেলে শামসুল আলম খান বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার ও শাহ আলমসহ নামধারী ৮ জনসহ আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে রাজাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানিক হার রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের এ কমিটি গঠন করে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন