গাজীপুরের শ্রীপুরে মদিনা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মাসুদ পলাতক রয়েছেন। নিহত মদিনা খাতুন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বগঞ্জ থানার চর আলী গ্রামের মো. মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। পলাতক স্বামী মো. মাসুদ মিয়া (৪০) একই এলাকার মৃত আশকর আলীর ছেলে। স্বামী স্ত্রী দু’জনেই কেওয়া দক্ষিন খন্ড গ্রামের শামীমের বাড়িতে ভাড়া থেকে পৃথক কারখানায় চাকরি করতো। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আর্শাদ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে ঘরের বারান্দা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের ভাই মোফাজ্জল জানান, তার বোন মদিনা বেগম তিন সন্তান নিয়ে স্বামীর সাথে ওই গ্রামে ভাড়া থেকে ডেনিমেক লি. নামক কারখানায় চাকরি করত। স্বামী মাসুদও একই এলাকায় আমান টেক্সটাইলে চাকরি করত। কিছুদিন ধরে মাসুদ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে অটোরিশকা কিনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝড়গা হতো। গত রোববার রাত ১০টার দিকে মাসুদ কারখানা থেকে বাসায় ফিরে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে। সকালে বাড়ির লোকজন মদিনা খাতুনের লাশ ঘরের বারান্দায় গলায় উড়না পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। সকলের অজান্তে মাসুদ স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ বারান্দায় রেখে পালিয়ে গেছে। মোফাজ্জল অভিযোগ করে বলেন, মাসুদ অটোরিশকার টাকার জন্য তার বোনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন