বড়াইগ্রামে একদিনে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বড়াইগ্রাম পৌরসভার ভরতপুর ও রয়না মহল্লাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল ও বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুকুরে কামড় ও আক্রমণে আহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সকাল থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তিনটি গ্রামের আহতরা হাসপাতালে এসেছেন। কুকুরের কামড়ে কারো হাত, কারো পা ও মুখে ক্ষত হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্টরা বিভিন্ন ক্লিনিকসহ সরাসরি নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে মামুদপুর গ্রামের মোবারক হোসেন (৫০) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ভরতপুর গ্রামের ইমন (১২), ফুলজান বেগম (৪৫), হাফেজা বেগম (৪২), সাইফুল ইসলাম (১৭) ও বাগডোব গ্রামের রোকেয়া বেগম (৫৫), রয়না গ্রামের শ্রী সুবোধ সরকার (৬৫) কে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভরতপুর গ্রামের তুলা বেগম (৫০), কাওসার আলী (১০), শহীদুল ইসলাম (৬০), সোয়াদ (১২), রয়না গ্রামের আঞ্জুয়ারা বেগম (৬২) ও মামুদপুর গ্রামের হিমু খাতুন (১২) কে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো দু’জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম বলেন, সকাল থেকেই কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে আসছে। কিন্তু আমাদের কাছে জলাতঙ্ক রোগের টিকা না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। আহতদের কেউ কেউ বাইরের দোকান থেকে কিনে আবার কেউ নাটোর সদর হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মারিয়াম খাতুন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় এসব কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। এছাড়া উপজেলা হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন