চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল হক সুমনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত।
গত ২ জুন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভূঁইয়া এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও বিষয়টি পরে জানাজানি হয়।
জানা গেছে, অস্ত্র মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর থেকে একবারও হাজির হননি আসামি সুমন।
রিদুয়ানুল হক সুমন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা একটি হত্যামামলার সূত্র ধরে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আমিরাবাদ হোটেল ওআইসির সামনে থেকে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, রেড গ্রিন সিলভার লেখা দুটি বোমা, ৫টি চকলেট বোমা, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও দেড় লিটার অকটেনসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।পরে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্ধিতে
রিদুয়ানুল হক সুমনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন, মিজানুর রহমান, মোক্তার হোসেন ও মোহাম্মদ শহিদ। তারা এলাকায় ছিনতাই, মারামারি, জমি দখল, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। মিজান ও মোক্তারের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রগুলোর মধ্যে দেশে তৈরি এলজি ৮ হাজার টাকায় শহীদ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের রিদুয়ানুল হক সুমনের কাছ থেকে তারা কিনে নেন বলে আদালতে তারা স্বীকার করেন,
এছাড়াও মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই অস্ত্র ব্যবহার করে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা খন্দকার পাড়ার গোলতাজ বেগমকে গুলি করে হত্যা করে। গোলতাজ সম্পর্কে আসামি মোক্তার হোসেনের চাচী। আর এই হত্যাকাণ্ডে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এই ঘটনায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ এপ্রিল ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন