কিছু দিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মহাসমারোহে। এরপর দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে ওই একই স্থানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জনসমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হলে প্রয়োজনীয় অনুমতিদানের ব্যাপারে নাটকীয়তা শুরু করে দেয়া হয়। প্রথমে বলা হয়, তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র পায়নি। কর্তৃপক্ষের মনোভাব টের পেয়ে বিএনপি তাদের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় জনসমাবেশের অনুমতি চেয়েও অনুমতি পায়নি। অনেক পরে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে শর্তাধীনে সীমিত সময়ের জন্য আলোচনা সভা করার অনুমতি দিলে প্রতিবাদে বিএনপি সে অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
এই একটি মাত্র ঘটনা থেকেও বর্তমান সরকারের আমলে গণতন্ত্রের দুর্দশার চিত্র প্রকট হয়ে ওঠে। কিন্তু এ সরকারের আমলে এটাই সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানের একমাত্র প্রমাণ নয়। ইতিহাসের নিরিখে দেখা যায়, পাকিস্তান আমলে এদেশে কখনও গণতন্ত্রের সুষ্ঠু অগ্রগতির সুযোগ ছিল না একশ্রেণির সামরিক ও বেসামরিক আমলার দৌরাত্ম্যের কারণে। এ কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম দাবি ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের উপযোগী সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সেই সুবাদেই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির অন্যতম ছিল গণতন্ত্র। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় গণতন্ত্রকে বাংলাদেশের চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির অন্যতম মূলনীতি বললেও সবটুকু বলা হয় না। যে কোনো বিবেচনায় গণতন্ত্র ছিল দেশের জনগণের নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মূলনীতি। জনগণের এই মনোভাব মাথায় রেখেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার অন্য তিন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে পরিবর্তন আনলেও গণতন্ত্রের গায়ে আঁচড় লাগাতে সাহস পায়নি কোনো সরকার।
দুঃখের বিষয় জনগণের দৃষ্টিতে যে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই সেই গণতন্ত্রের মর্মবাণীর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটিমাত্র সরকারি দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েস করা হয়। শুধু তাই নয়, একদলীয় শাসনব্যবস্থার লক্ষ ষোল কলার পূর্ণ করতে দেশের সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে ইংরেজি ও বাংলা মিলে মাত্র চারটি সরকারি দৈনিক চালু রাখা হয়। এভাবে দেশে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় পরিবর্তনের সকল পথ রুদ্ধ করে দেয়ার ফলেই ১৫ আগস্টের দুঃখজনক ঘটনাবলি অনিবার্য হয়ে ওঠে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ধারণা।
যা হোক নানা দুঃখজনক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হলেও একপর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময় সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী ঐ জেনারেলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বসেন দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের অন্যতম আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার এ কাজের সমর্থনে একটি মাত্র যুক্তি (বা কুযুক্তি) ছিল এই যে, সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ওই নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর অর্থ এই যে, আওয়ামী নেত্রীর কাছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চেয়েও অধিক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের শাসন। বলাবাহুল্য, এটা তাঁর গণতন্ত্র প্রীতির কোনো প্রমাণ বহন করে না।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এভাবে দেশে জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী সামরিক শাসন শুরু হলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও প্রথম প্রথম এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ উৎসাহ দেখায়নি। ফলে রাজনীতিতে নবাগতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী হিসেবে জনমনে প্রতিভাত হন। পরে এরশাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠলে বাস্তবতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগও এ আন্দোলনে শামিল হয়। এরশাদ আমলের শেষর দিকে দেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে দেশের ছোট-বড় সকল রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দুই প্রধান দল একমত হয়।
নির্বাচন যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনার বিশ্বাস ছিল প্রাচীনতম ও সুসংগঠিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগই জয়ী হবে। নিজস্ব ভোটকেন্দ্রে ভোটদানের পর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে একপর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে কেউ যেন এর মধ্যে আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেল আওয়ামী লীগ নয়, বিজয়ী হয়েছে বিএনপি তখন অবলীলাক্রমে তিনি বলে ফেললেন নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচনের ফল মোতাবেক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকার গঠন করেন। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার শাসন মেয়াদের শেষ দিকে প্রধানত তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান সংবিধানে গৃহীত হয়। অতঃপর এই বিধানের আলোকে দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে দুই প্রধান দল পরপর বিজয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে। এতে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানই এদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশে উপযুক্ততম পদ্ধতি।
দুঃখের বিষয় এক শ্রেনীর রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর অতিরিক্ত ক্ষমতা ক্ষুধা এক পর্যায়ে এমন সুন্দর ব্যবস্থাটিকে ও পচিয়ে ফেলে এবং ক্ষমতা দ্বন্দ্বের সুযোগে অসাংবিধানিক শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অলিন্দে ঢুকে পড়ে সেনা সমর্থিত সরকারের নামে সেনা নিয়ন্ত্রিত এক অদ্ভুত সরকার গঠন করে। তারা দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রীকে রাজনীতি থেকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ চত্বরের দুটি ভবনে গৃহবন্দী করে রেখে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের তথাকথিত সংস্কারপন্থি নেতাদের নিয়ে দুই প্রধান দলের সংস্কারের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে দুই প্রধান দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রবল বিরোধিতার ফলে অসাংবিধানিক শক্তির এ অপচেষ্টা ভঙ্গুল হয়ে যায়।
এই পর্যায়ে আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন তিনি ক্ষমতায় গেলে অসাংবিধানিক শক্তির সকল কাজের বৈধতা দান করবেন। এর পর ওই অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয় তাতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এভাবে শেখ হাসিনা সরকারে গিয়ে তার দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিলে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের অতীত সমঝোতা লংঘনের অভিযোগে বিএনপি সে নির্বাচন বয়কট করে। দেশের দুই প্রধান দলের একটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে সে নির্বাচন হয়ে পড়ে অর্থহীন। বিরোধী দল তো দূরের কথা, সরকারি দলের অনেকেও ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। তারা জানতেন ভোট কেন্দ্রে না গেলেও দলের নেতাকর্মীরা তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যথা ইচ্ছা ব্যালট পেপারে সিল মেরে দলের প্রার্থীদের পক্ষে অবিশ্বাস্য রূপে প্রদত্ত ভোট বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। এ কারণে জনগণ এ নির্বাচনকে আখ্যা দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন।
এই ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার দলীয় নেতারা যে কোনো রূপে আত্মগ্লানিতে ভুগছেন, তা নয়। বরং তারা বিএনপির উত্থাপিত সকল দলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০১৯ সালের এক দিন আগেও কোনো নির্বাচন আর হবে না। অতীতের ওয়াদা ভঙ্গ করে দলীয় সরকারের অধীনে এভাবে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এক হিসাবে ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তি-খেউড় শুনতে হচ্ছে না। অর্থাৎ সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারবিরোধী বক্তৃতা তার দৃষ্টিতে খিস্তি-খেউড় ছাড়া আর কিছু নয়। বিরোধী দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে তার এ বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয়, বিরোধী দলের বক্তব্য তার কতটা অপছন্দ। অথচ প্রকৃত গণতন্ত্রে বিরোধী দলের বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কোনো বিকল্প নেই, থাকতে পারে না।
বাংলাদেশে বর্তমানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই। বর্তমান স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতেও যে গণতন্ত্রে উত্তরণের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারি দলের বিভিন্ন নেতাদের কথাবার্তা এবং আচরণ থেকেই এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। অতীতের দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, এরশাদ-পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে ওই সরকারের আমলে তদানীন্তন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই দেশের সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে গৃহীত হয়। সেদিন যে দাবি শেখ হাসিনার কাছে বিশেষ জরুরি মনে হয়েছিল তার কাছে আজ তা এতটা ভীতিকর মনে হচ্ছে কেন? একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হলে তাতে তার দলের ভরাডুবির ভয়েই কি তিনি তার এক কালেরনিজের উত্থাপিত দাবির বিরুদ্ধে এমন উঠেপড়ে লেগেছেন? এরপরও কি দাবি করবেন তিনি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাস করেন? যে নির্বাচনে জগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়, সে নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে কোনো নির্বাচনই নয়, তা সুপরিকল্পিত নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শক্তির মেয়াদ বর্ধিতকরণের অপপ্রয়াস মাত্র।
বর্তমান সরকারের নেতৃস্থানীয় সদস্য পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনরত মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশের প্রধান বিরোধী দল অবাধ নির্বাচনে তিন তিনবার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনকারী বিএনপির উদ্দেশে সম্প্রতি এক সভায় বলেছেন, ‘আমরা দয়া করে দিলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে আপনারা বড় জোর দশটি আসন পেতে পারেন। নইলে নয়।’তার মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা এরকম বাসনা তিনি হঠাৎ প্রকাশ করে ফেলায় তাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারণ কোন দলের প্রতিনিধিরা কতটা আসন পাবেন তা জানেন না, এটা নির্ভর করে ভোটারদের ওপর। কোনো সরকারের মন্ত্রী মহোদয় যদি এ ব্যাপারে আগাম ঘোষণা দেন তবে বুঝতে হবে ওই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। বাংলাদেশে এ ধরনের রাজনৈতিক দল ও নেতানেত্রীর অস্তিত্ব রয়েছে বলেই এদেশে বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল অতীতে একমত হতে পেরেছিল। প্রধানত যে রাজনৈতিক দলটির দাবির মুখে সেদিন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে গৃহীত হয়, আজ সেই দলটির নিজের উত্থাপিত সেদিনের দাবি বাস্তবায়নে এত ভয় কেন?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন