শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে মণিরামপুরের চাষিরা

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে চাষিরা বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে শুরু করেছেন। জানা যায়, চলতি মৌসুমে গেল আমন আবাদের সময় অতি ও কয়েক দফায় টানা বর্ষণে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যায় কবলিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের মধ্যে ১৪টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গিয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি, পোকা মাকড় এর সাথে টিকে থাকতে না পেরে গৃহহারা হয় প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের মানুষ। চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার চাষিরা। তাদের আবাদ করা আমন ফসল পানিতে ডুবে গিয়ে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় ওই ইউনিয়নের ১০০৪ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানি শুকাতে শুরু করলে চাষিরা আবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে আবাদ করতে শুরু করেছেন। লাউড়ী গ্রামের প্রান্তিক চাষি বিল্লাল হোসেন জানান, আমন ফসল বন্যায় ধুয়ে নিয়ে গেছে। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে আবারও ২০ শতক জমিতি সরিষার আবাদ করেছি, বোরো আবাদের জন্য পাতা ফেলেছি। আল্লাহ ভাল করলে বোরো ফসল পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকত পারব। স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জলী রানী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষিরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সবজি, সরিষা, ভুট্টা, মশুর, মুগসহ বিভিন্ন আবাদ শুরু করেছেন। বোরো আবাদের জন্য অন্তত ৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায়  ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ইতিমধ্যে বিনামূল্যে সরিষা, ভুট্টা, মশুরসহ বিভিন্ন বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া কোন চাষি যদি কোন প্রদর্শনী ক্ষেত করতে চায়, তাহলে কৃষি অফিস সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। সরকার তথা কৃষি অধিদপ্তর সবসময় চাষিদের পাশে আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন