রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট-ঘাটচেক সড়কের পারুয়া ইউনিয়নের সোনায়ছড়ি খালের উপর অবস্থিত ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙ্গা ব্রিজের পার্শে¦ কাঠের তৈরি বিকল্প ব্রিজ নির্মাণ করে যানচলাচল করছে অতি ঝুঁকি নিয়ে। কাঠের তৈরি ব্রিজের অবস্থা খুবই নাজুক, যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চালকরা জানান, প্রতিদিন শত শত সিএনজি ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল্প কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে। উত্তর পারুয়া গ্রামের সুজন নাথ জানান, সোনায়ছড়ি ব্রিজ গত ২ বছর পূর্বে বর্ষার প্রবল পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে যায়। ব্রিজ অকেজো হয়ে পড়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। পৌরসভা, পারুয়া, লালানগর, রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর, ইসলামপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এসড়কে চলাচল করে। দুই বছর অতিবাহিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ব্রিজ মেরামত করা হচ্ছে না। কাজ না করে ফেলে রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ব্রিজ ভেঙ্গে অচল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান করে। ২ বছর পূর্বে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হলে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় চলতি বছর। গত বর্ষা মৌসুমে কোনো কাজ করা হয়নি বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। পারুয়া সড়কের সিএনজি ট্যাক্সি চালক আব্দুল গণি জানান, খুবই ব্যস্ততম সড়কটি দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সংস্কার হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় চালকদের নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গা ব্রিজের পাশে কাঠের তৈরি একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাজারহাট গ্রামের রাশেদ আহমদ সিকদার জানান, রোয়াজারহাট থেকে সোনায়ছড়ি ৩ কিলোমিটার এলাকায় বিধ্বস্ত ব্রিজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের কারণে লক্ষাধিক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সোনায়ছড়ি ব্রিজ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, কাজের কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। বিগত বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজের কাজ চলছে। ব্রিজের কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন