বর্ষার শুরুতেই বেহাল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা সিইউএফএল সড়ক। বৃষ্টি হলেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে এ সড়ক। এতে করে বিভিন্ন কারখানার হাজার-হাজার শ্রমিক কর্মচারীসহ পশ্চিম আনোয়ারার লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষার শুরুতে দ্রুত সড়কটি সংস্কার না হলে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। তবে সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কটির প্রশস্তকরণসহ প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ।
জানা যায়, আনোয়ারায় রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে রাঙ্গাদিয়া সার কারখানা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ করে। এরপর থেকে বছর বছর তারা সংস্কার কাজ করলেও এ সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী ড্রাইডক, কর্ণফুলী টানেল, ডিএপি সারকারখানা, কাফকো সার-কারখানা, কোরিয়ান ইপিজেড, আনোয়ারা পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ সড়ক দিয়ে উপজেলার রায়পুর, বারশত, বটতলী, বৈরাগ ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও মেরিন একাডেমি, শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার, পারকি সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু বর্ষার শুরুতেই চাতরী চৌমহনী বাজারে সড়কে পুকুর সাদৃশ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোন্তির শেষ নেই যাত্রী-চালকদের।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, সড়কটি সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের হওয়ায় এলজিইডির মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব নয়।
আমরা উপজেলার চাতরী মোড় থেকে সিইউএফএল হয়ে মেরিন একাডেমি পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়ক সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে সড়কটি প্রশস্ত করে ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে শিল্প মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পরিকল্পন্ কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগকে বেজা’র সাথে সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছি। আশা রাখি দ্রুত সময়ে এ সমস্যা সমাধান হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন