শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

এসিল্যান্ড ও তহসিলদারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়ন্তী রূপা রায় ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার দুপুরে মাদারীপুরের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের হাউসদী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী। আদালত জবাব চেয়ে বিবাদীগণের নামে সমন জারি করেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী লিখিত অভিযোগে দাবী করেন, তার পিতা আজাহার ফরাজীর ১৯৭৫ সালের রেজিস্ট্রিকৃত ১৩৬০নং সাবকবলা দলিল মূলে ৩৬ নং হাউসদী-পাতিলাদী মৌজার আরএস ৭৪৪, এসএস ৬৭৬নং খতিয়ানের ১৪৮৫নং দাগের ১২ শতাংশ ভূমির স্বত্ত্ব লাভ করেন। এই জমি ভিপি তালিকায় বা সরকারের খাস তালিকাভূক্ত নয়, এমনকি সরকার কখনো অধিগ্রহণ করেনি। অথচ, বিআরএস রেকর্ডে ওই জমি ভুলবশত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মালিকানাধীন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। হাউসদী বাজারে অবস্থিত এই জমির উপর তিনি কিছু দিন আগে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেন। এই ভবন নির্মাণের পর গত ২১ জুন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়ন্তী রূপা রায় ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) আব্দুল ওহাব (বর্তমানে শিবচরে কর্মরত) কোন রকম নোটিস প্রদান না করেই সরকারি জায়গা দাবী করে নির্মিত ঘরের আংশিক ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী জমির কাগজপত্র সংশোধন করার জন্য আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। আদালত ৭ দিনের মধ্যে ভূমি সহকারী কমিশনার ও তহসিলদারকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করে। ওই নোটিসের কোন জবাব না দিয়ে বরং আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ জুলাই ওই দুই কর্মকর্তা পুনরায় ২০/২৫ জন লোকজন এবং এক্সেভেটর নিয়ে ওই সেমিপাকা ঘরটি ভেঙ্গে মাটির সাথে গুঁড়িয়ে দেয়। আবদুল কুদ্দুস ফরাজী বলেন,“সরকারি নির্দেশনা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এক্সেভটর, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে আমার স্থাপনা ভাংচুর করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তার ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করা আছে। দিনের বেলা শত শত মানুষের সামনে উচ্ছেদ করা হলেও তারা অস্বীকার করছেন ওখানে কোন ঘর ছিল না এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। এ ঘটনায় মামলা করার কারণে আমাকে ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করা হচ্ছে।” স্থাপনা ভাঙা ব্যাপারে কোন মন্তব্য না করে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়ন্তী রূপা রায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কোন মামলার কথা আমি জানি না।”

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন