কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মুরগি আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে এক প্রতিবেশির ইটের আঘাতে আয়াশে (১৪) নামে এক মাদরাসার ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন মোহনপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম মিয়ার বাড়িতে। নিহত আয়েশা মোহনপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে এবং মোহনপুর দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরগী আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে নিহত কিশোরী আয়েশা ও তার মা পারভীন আক্তারের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী আসমা আক্তার বাকবিতণ্ডা শুরু করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আব্দুল আজিজ আয়েশাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারলে আয়েশা গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করলে পথে তার মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে আয়েশার মা পারভীন আক্তার বলেন, আমার একটি মুরগী তিন দিন ধরে খোঁজ পাচ্ছি না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখি আব্দুল আজিজের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। তখন আজিজের স্ত্রী আসমা আক্তারকে বলি আমার মুরগী কেন আটকে রাখছো? তারা বলে এটা তাদের মুরগী, তখন বললাম মুরগীর বাঁধটি ছেড়ে দেন, যদি আপনাদের হয় তাহলে আপনাদের ঘরেই থাকবে, আর যদি আমাদের হয় তাহলে আমাদের ঘরে চলে যাবে। মুরগী ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের ঘরে চলে যায়। তখন আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী আমার ঘর থেকে মুরগীটি ধরে আনতে গেলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল আজিজ আমার মেয়ে আয়েশাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারলে আমার মেয়েব মাথায় আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক আমার মেয়েকে এলাকার লোকজন তিতাস হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার ঢাকা পাঠায়, ঢাকা নেয়ার পথে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি গরীব মানুষ আমার মেয়ে খুনের বিচার চাই। বিচার চাই বলে কেঁদে ফেলেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী আসমা আক্তারকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি ও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন