শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অকস্মাৎ ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেছে মাদরাসার টিনসেড

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

আশাশুনি উপজেলার খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসার ৫ কক্ষের টিনসেড উড়ে গেছে। গত রোববার দিবাগত রাত্র ১০ টার দিকে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলে টিনসেড চাল ওড়ে যায়।
১৯৮৫ সালে স্থাপিত মাদরাসার ৩টি আধাপাকা বিল্ডিং-এর ১০টি কক্ষে (অফিসসহ) ক্লাস পরিচালিত হয়ে আসছে। চার শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে মাদরাসা চললেও অবকাঠামোগত দুরাবস্থার কারণে খুবই সমস্যায় আছে প্রতিষ্ঠানটি। অদ্যাবধি কোন সরকারি সহায়তা বা অনুদান না পাওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা নিজেদের পকেটের অর্থে গৃহ সংস্কার, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র যোগান দিয়ে আসছে। বিগত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে মাদরাসার ৫টি কক্ষ উড়ে গিয়েছিল। তখন মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অর্থে ঘর মেরামত করেছিলেন। গত রোববার রাতে আবারও আকস্মিক ঝড়ে উড়ে গেছে ৫টি কক্ষের টিনসেড। ফলে মাদরাসার চলমান ষান্বার্ষিক পরীক্ষা খোলা কক্ষে নিতে হচ্ছে। টিনসেড ওড়ে যাওয়ার পরদিনই পরীক্ষা চলাকালীন বৃষ্টি শুরু হলে প্রশ্নপত্র, খাতাকলম হাতে নিয়ে পরীক্ষার্থীরা দৌড়ে অন্য কক্ষের বারান্দায় এসে দাড়ায়। যেখানে অন্য পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। অপেক্ষার পালা কখন বৃষ্টি থামবে। কিন্তু না, দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি না থামায় বাকি থাকা ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় পরীক্ষা না দিয়ে তাদেরকে চলে যেতে হয়।
আপদকালীন সময়ে জরুরি সহায়তার মাধ্যমে আপাতত চালটি ঘরের ওপর উঠানোর ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। যাতে পরীক্ষা নেয়ার মত কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হতে পারে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান ও পিআইও সোহাগ খানকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ গৃহের ছবিসহ একটি আবেদন ইউএনও বরাবর করতে বলা হয়েছে। অবহেলিত এহেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনটির ভবন নির্মাণ ও সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে অভিভাবক ও এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন