কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর সংলগ্ন ফানাই-আনফানাই নদী এলাকায় দুই ব্রীজের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনে বন্যার পানি উঠে পড়েছে। ২০ জুন সকাল থেকে পানি হাওর ছাড়িয়ে রেললাইনের উপর উঠে পড়ে। চারদিন ধরে রেললাইন থেকে পানি না নামায় এ রুট দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ১২টি আন্ত:নগর ও ১টি লোকাল ট্রেনসহ ১৪টি ট্রেন যাওয়া-আসা করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমলেও ওইদিন বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় আবারও পানি বেড়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধের শঙ্কা রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পানিতে নিমজ্জিত রেললাইন দিয়ে দশ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে নির্ধারিত সময় থেকে আধ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে ট্রেন চলাচলে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ফানাই নদীর রেল ব্রিজের নীচে কচুরিপানা ও আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সার্বক্ষণিক একজন লোক পরিষ্কারের জন্য নিয়োগ করেছে। পানি বাড়তে থাকলে সিলেটের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তার মিয়া জানান, ওই এলাকায় প্রায় ২শ’ ফুট রেললাইনে ২০ জুন (সোমবার) বিকেল থেকে পানি উঠতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পানি উঠে ওই স্থানের রেললাইনের ¯øীপার পর্যন্ত ডুবে গেছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার মুঠোফোনে জানান, গেল ৩ দিন থেকে ওই স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই স্থানে রেল লাইনের ১ ইঞ্চি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোতে কম থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে আর পানি কিংবা স্রোতে বাড়লে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখা যাবে কিনা তা আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের পরামর্শনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গেল কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টি কারণে কুলাউড়া থেকে শমশেরনগর ও কুলাউড়া থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন