শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারের ত্রাণ একবারেই পৌঁছাচ্ছে না : মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২২, ৫:৫০ পিএম

বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারের ত্রাণ সামগ্রী একেবারেই পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভয়াবহ বন্যা চলছে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে। আমি নিজে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সিলেটে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে না দেখলে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে কোনো ধারণা করা যায় না।

শুক্রবার (২৪ জুন) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ‘গুম’ হওয়া কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১০ সালের ২৪ জুন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২০ ওয়ার্ডের (সাবেক ৫৬নং ওয়ার্ড) কমিশনার চৌধুরী আলমকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছিল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই তথাকথিত অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তিনি হেলিকপ্টারে গিয়ে ওপর দিয়ে ঘুরলেন, সার্কিট হাউজের হেলিপ্যাডে নেমেছেন। সেখানে ১০ জন লোককে টোকেন ত্রাণ দিয়েছেন এবং তারপর তিনি বলেছেন, সব হয়ে যাবে। গতকাল রাত পর্যন্ত আমি যা খবর পেয়েছি, একেবারে কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, মানুষ যে কষ্টে আছে এবং তাদের কাছে যে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, তাদের বাঁচার ব্যবস্থা করে দেওয়া, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া— তার কোনো ব্যবস্থা সরকার করেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী নামার পর তারা সিস্টেমেটিক্যালি কিছু ত্রাণ রিমোট অঞ্চলগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া কিছু কাজ করছে বেসরকারি এনজিওগুলো। বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম সম্পর্কে মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। তারা নিজেদের পয়সা দিয়ে নৌকা ভাড়া করে ত্রাণ নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং ব্যাপকহারে কাজ করছে তারা। আমি আপনাদের মাধ্যমে সিলেটের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। অবিলম্বে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘যে কারণে বন্যা হয় সেই সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেনি। বরং এটাকে বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়ে যে বড় রাস্তা হয়েছে, যেটা কিশোরগঞ্জের ইটনায় গিয়েছে। আমরা শুনেছি সেটা রাষ্ট্রপতির একটা প্রাইজ প্রজেক্ট। ৩৩ কিলোমিটার এই রাস্তা। এই রাস্তা সম্পূর্ণ পানির যে স্বাভাবিক প্রবাহ সেটাকে বন্ধ করে দিয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বা গতিকে আজ বন্ধ করা হয়েছে। যার ফলে এভাবে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ যাদেরকে গুম করা হয়েছে, তাদেরকে জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের পরিবার তাদের ব্যাংকের লেনদেন, সম্পত্তির মালিকানা, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট পর্যন্ত পাচ্ছে না। গুম হওয়ার পরিবার চরম কষ্টের মধ্যে আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে আমি বলেছিলাম এই সরকারকে একমাত্র আখ্যা দেওয়া যেতে পারে— গণশত্রু। তারা জনগণের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, চৌধুরী আলমকে এই সরকারের নির্যাতনকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ১২ বছরে শত চেষ্টা করেও তার পরিবার ও বিএনপি কোথাও কোনো সন্ধান পায়নি। এখন পর্যন্ত সরকার তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এই ধরনের ঘটনা অনেকগুলো সংঘটিত হয়েছে। আমাদের হিসাবে আমাদের দলের লোকই আছে ৬শর ওপরে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আবারও সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

এসময়ে চৌধুরী আলমের দুই ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরী, আবু সাদাত চৌধুরী, দুই মেয়ে মাহমুদা আখতার, মাহফুজা আখতার ও চৌধুরী আলমের ছোট ভাই খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহানগর নেতা আবদুল হান্নান, ফারুক আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নজরুল ইসলাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান এসময় মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
sha ২৪ জুন, ২০২২, ৭:২১ পিএম says : 0
নির্বোধরা বিশ্বাস করে অমানুষ পিচাশরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে! বাস্তবে অমানুষ পিচাশ ও পিচাশি সরকার জনকল্যাণের যে অসংখ্য ধরনের ভন্ডামিপূর্ণ নাটক করে, বাস্তবে এরা সর্বদিক থেকে মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষতি করে। অথচ নির্বোধরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বেখেয়াল ! অহংবাদ মিথ্যা ভণ্ডামি ধোকা বিভ্রান্তি অমানবিকতা ক্ষতিকারক পিচাশ শয়তানবাদের সর্বোচ্চ অন্ধকার যুগে বর্তমান বিশ্বে আমরা অবস্থান করছি। তাই আপনারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন! গভীর তদন্ত না করে অন্ধভাবে কোন কিছু বিশ্বাস করবেন না। সর্বোচ্চ শয়তানবাদের এই যুগে "রক্ষকরাই ভক্ষক" এর ভূমিকা পালন করছে, আপনার চারপাশে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। সুতরাং বিশ্বাস শুধুমাত্র সত্যকে করা যায়। আর শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ সত্তের উৎস। কিন্তু সাবধান! শয়তান ও এর দালালরা নিজেদেরকে সত্যবাদী হিসেবে প্রকাশ করে অথচ এরাই সমস্ত ধরনের মিথ্যার উৎস! এরা বলে, Covid19 ভাইরাস নাকি ভয়ঙ্কর! অথচ ঐ সমস্ত অমানুষ পিচাশ কথিত ভাইরাস থেকে লক্ষ কোটি গুণ বিষাক্ত, এদের দ্বারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীতে কথিত ভাইরাসের নাম দিয়ে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর যে কারণ বলা হচ্ছে তার আসল কারণ হচ্ছে বিষাক্ত ভ্যাকসিন বিষাক্ত ড্রাগস্ বিষাক্ত খাদ্য বিষাক্ত পরিবেশ বিষাক্ত মোবাইল রেডিয়েশন বিষাক্ত মানসিক চাপ- যা শয়তান ও এর দালালরা এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের রূপ ধারী অমানুষ পিচাশরা নানাভাবে মানুষের সাথে মিথ্যা ধোকা প্রতারণা ভন্ডামি করে, মানুষের রক্ত শোষণ করে পিচাসি ক্ষমতা ও সম্পদের পাহাড় গড়ছে, সাধারণ মানুষকে তাদের ক্রীতদাসে রূপান্তর করছে l তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিজেদের জীবনকে বিষাক্ত অভিশপ্ত করবেন না। সদা সর্বদা সবসময় সত্যের পক্ষে থাকুন। আর এই পৃথিবীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্য হচ্ছে মনুষত্ব ন্যায় বিচার কল্যাণ মানবতা শান্তি। পিচাশরা মুখে মুখে মনুষত্ব ন্যায় বিচার শান্তির কথা বলে, অথচ এরাই এই পৃথিবীতে তাদের নিজস্ব লোভ স্বার্থ শয়তানি ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নানারকম অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনি যতই এদেরকে সমর্থন করবেন এরা ততোই শক্তিশালী হয়ে নানাভাবে আপনাকে শোষণ করবে। মানুষ যদি এদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড গুলোকে বন্ধ করতে বাধ্য না করে তাহলে কখনই এরা তা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবে না। সুতরাং এদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা বন্ধ করুন, না হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন