গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানির তোড়ে বাঁধ ধসে বড় বড় গর্তসহ খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনগণ। বিশেষ করে বেলকা বাজার থেকে সুন্দরগঞ্জ শহর পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার বাঁধটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলা শহর থেকে বেলকা বাজার পর্যন্ত বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের লোকজন এবাঁধ দিয়ে সুন্দরগঞ্জ শহরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রি, শিক্ষক, ব্যবসায়ি, চাকুরিজীবী ও হাটুরেসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এরাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে অসংখ্য লোক আহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে তিস্তা ও ব্রক্ষপুত্র নদের ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর পর কয়েক দফায় বাঁধ সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ভারী বর্ষনে রাস্তার দুই পাশ ধসে পড়াসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানা-খন্দে পানিতে ভরে যায়। হাটুরে ও সাধারণ পথচারীরা কাদা পানি ভেদ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বেলকা সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুমাইটারী সিনিয়র মাদ্রাসা, বেলকা বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেলকা ডিগ্রি কলেজ, তালুক বেলকা সরকারি প্রাথমিক, শহীদ মিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ধুমাইটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলকা বটতলী মাদরাসা, বেকাটারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫/২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষকদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। গুরুত্ব বিবেচনা করে বেলকা থেকে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত বাঁধটি প্রায় ১০ বছর আগে পাকাকরণ করা হলেও সংস্কার করা হয়নি। তাই খানা-খন্দে ভরে গিয়ে দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাস, ট্রাক, অটোবাইক, টেম্পু, ট্রাক্টর, অটোভ্যান, অটোরিক্সা ও অটোবাইকসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে এ রাস্তা দিয়ে। গত দুই বছর আগে তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর এবাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। এরপর পাকাকরণ কাজ আরম্ভ করা হলেও তা থেমে থেমে হওয়ায় রাস্তার সুফলভোগ সহজে জুটছেনা পথচারীদের কপালে। বিশেস করে ব্যবসায়িরা মালামাল পরিবহনে পড়েছেন বড় বেকায়দায়।
এ ব্যাপারে বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও কাজ হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান জানান, রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার কাজ আরম্ভ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন