কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানায় শিশু কন্যাকে (৬) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জসিম উদ্দিন ফেরদৌস (৪০) নামে এক লম্পটকে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানার টনকী ইউনিয়নের মাজুর গ্রামে এ ঘটনাটি দেড় লাখ টাকায় ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সর্দার মাতাব্বররা। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ভিক্টিম শিশুটির মা জানায়, সামছুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন ফেরদৌস আমার মেয়েকে ডেকে তার দু-তলা বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় সেতু বেগম (৪৫) বিষয়টি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের দরজা ধাক্কা-ধাক্কি করলে অভিযুক্ত ফেরদৌস তাড়াহুড়া করে দরজা খুলে আমার মেয়েকে বের করে দেয়। স্থানীয় সুজন, কাউছার, ছাদেক মিয়াসহ আরো অনেকে জানায়, ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সালিশ বসে। ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জুড়ি বোর্ডের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর। উক্ত রায় আপত্তি জানিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় শনিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন শিশুটির মা। এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করলে পুলিশ শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন ফেরদৌসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জসিম উদ্দিন ফেরদৌস নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন