পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীরকে (৪৮) দেশিয় অস্ত্রে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজউদ্দিন খান মুক্তমঞ্চে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলার সময় পাশের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর উপজেলা আ.লীগের কার্যকরী সদস্য রুবেল রানা জানান, কবীর ভাই দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস, তার ছেলে রাতুল ও মনছুরসহ কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে আসেন। প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণের নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে লাঠিসোটা ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে আলী আশরাফুল মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলার শিকার আলী আশরাফুল কবীর বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তোমাদের অনুষ্ঠানে আমরা যাব কেন? তোমরা রাজাকার। রাজাকারের অনুষ্ঠানে আমরা যাই না। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি এবং তার ছেলেরা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছি। এ বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস বলেন, অনুষ্ঠান স্থালের পাশে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। একটা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে শার্টের কলার চেপে ধরলে, আমার ছেলেপেলে তাকে কিল-ঘুষি মারে। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে তার মাথা কেটে যায়। ফরিদপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠান স্থালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, পুলিশ দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অভিযুক্তদের দ্রুত আটক করা হবে। এ বিষয়ে কেউ থানায় এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন