ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মেডিসিন স্টোর থেকে হাসপাতালের ইনজেকশন চুরির অভিযোগে এক ফার্মাসিস্টকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগের রাস্তা থেকে ফার্মাসিস্ট মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪)কে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে সরকারি বিক্রয় নিষিদ্ধ ১৯৫ পিস ইনজেকশন (নলেবান) উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালে বহির্বিভাগের মেডিসিন স্টোরের সামনে থেকে বাইরে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব তাদে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে সরকারি বিক্রয় নিষিদ্ধ ১৯৫ পিস ইনজেকশন (নলেবান) পাওয়া যায়। পরে তাকে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ইনজেকশন বেদনানাশক কাজের জন্য রোগীকে দেয়া হয়।
র্যাব আরও জানায়, আটক ইসমাইল হোসেন ঢামেক হাসপাতালে তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বর্তমান ক্রীড়া সম্পাদক। তার পিতার নাম আ. কুদ্দুস মোল্লা। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। এর আগেও সরকারি সুতাসহ ওয়ার্ড বয় হাকিমকে আটক করেছিল র্যাব। সরকারি ইনজেকশনসহ র্যাবের হাতে আটক ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি এই ইনজেকশন বাইরে নিয়ে ১৪ টাকা দামে বিক্রয় করি। এটা যে কোনো ফার্মাসি থেকে কিনতে গেলে ৯০ টাকা করে লাগে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেডিসিন স্টোরের অনেকেই জড়িত আছে, আমি কারো নাম বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এটি একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। আমাদের কর্মচারী যারা জড়িত আছে তাদের আমরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে অনেকেই সচেতন হয় এরপরেও অনেকে আছে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় না। র্যাব তাদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সময় তাকে আটক করে। আমার বিশ্বাস যারা এ সব অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত তারা এই ঘটনার পরে সতর্ক হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন