শরীয়তপুরের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সহজ হয়েছে পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে। পদ্মাসেতু চালুর পর শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে যান চলাচল বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি সড়কের প্রসস্ততা। সড়কের সক্ষমতার অধিক যান চলাচল করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চালক ও যাত্রীরা। শরীয়তপুরে বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। তাই অনেকে নিরুপায় হয়ে পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন লঞ্চ বা স্পীডবোর্টে।
অপ্রসস্ত সড়কের কারণে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে গাড়িগুলো ঢাকা যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ থেমে থাকতে হয়। এতে জেলার প্রায় অত্যন্ত ৪/৫টি স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মূল সড়কের মাঝখানে পাশাপাশি দুইটি বাস অতিক্রম করতে গেলে তাদের গতি নিয়ন্ত্রণ করে সাইড দিতে হয়। আবার একটি গাড়ি থামিয়ে রেখে অপর গাড়ি চলতে দিতে হয়।
প্রতিদিনই শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ড, কোটাপাড়া ব্রিজ, জাজিরা টিএনপি মোড় ও কাজিরহাট ব্রিজ ও কাজিরহাট মোড়ে সরু রাস্তার কারণে দীর্ঘ দিন সময় আটকে থাকতে হয়।
পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর অংশের টোল প্লাজায় গিয়ে দেখাগেছে যানবাহনের ভীড়। তারা টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠছে। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গাড়ি টোল পরিশোধ করে শরীয়তপুর অংশ থেকে পাড় হয়েছে।
মঙ্গল মাঝির ঘাটে গিয়েও দেখা গেছে স্পীডবোট ও লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার হতে। নদী পাড় হয়ে আসা মাসুদ খান ও শাকিল জানায়, তারা ঢাকার থেকে এসেছে। নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর যাবেন তারা। তাদেরও ইচ্ছে ছিল পদ্মাসেতু দিয়ে পার হওয়ার। তবে ঢাকার কোন স্থান থেকে শরীয়তপুরের গাড়ি ছাড়ে তা তাদের জানা ছিল না। তাই চিরচেনা পথেই বাড়ি ফিরছেন তারা। সেই সময় লঞ্চে উঠছেন পদ্মা নদী পাড় হওয়ার জন্য সামচুল হক ও হালিমা দম্পতি। তারা জানায়, দীর্ঘক্ষণ শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকার বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। যাত্রির ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠতে না পারায় তারাও চিরচেনা পথেই ছুটছেন ঢাকায়।
তবে শরীয়পতপুরের সাথে ঢাকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক জানায়, তাদের ১৭টি বাস ঢাকা শরীয়তপুর সড়কে চলাচল শুরু করেছে। আরো কয়েকটি বাস নির্মাণাধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে চালু করা হবে। তখন ভোগান্তি অনেকটা কমবে।
অপর দিকে শ্যামলী পরিবহনের চেয়ারম্যান ২০টি গাড়িতে তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শণ করেছেন। তারাও এই রুটে ১ মাসের মধ্যে যাত্রী সেবা চালু করবেন জানিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৮টি বিআরটিসি বাস শরীয়তপুরে এসে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির রোসানলে পড়েছে। শরীয়তপুরের সড়ক প্রসস্থ হলে অনেক কোম্পানির যাত্রী সেবা চালু করার সম্ভাববনা রয়েছে।
বিআরটিসি বাস চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, শরীয়তপুরে সড়ক অনেক সরু। গাড়ির সাইড দেয়া খুব কষ্টের। কাজিরহাট ও কোটাপাড়া এলাকার নদীর ব্রিজ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে ঘন্টারপর ঘন্টা জ্যামে থাকতে হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন