পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে, যারা পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের মানহানি করেছেন, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং ক্ষতিপূরণও দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব তহবিল ও সম্পদ দিয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এখন এটি আত্মনির্ভরতা ও সমৃদ্ধির পথে একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছে। আজ সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু : উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক দশকের মাইলফলক’ শীর্ষক উৎসব উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছে, যা ১১ লাখ টন থেকে আজ ৪৪ লাখ টনে অর্থাৎ চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার ব্যবসা-বান্ধব সরকার রপ্তানি আয় ৭ বা ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে। এছাড়াও তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশিরা মহামারীর সময় তাদের দেশে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রেরণ করায় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ড. মোমেন তার বক্তৃতায় সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকে সরকার যে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠানোর অবদানের প্রশংসা করেন। সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সংহতি প্রকাশ করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায়, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি লুৎফুর রহমান দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নতি তথা, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানান।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের একজন বিশিষ্ট সদস্য জালাল উদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর ও নগর থেকে আসা ৪ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন