ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে এবারে কুমিল্লার প্রায় আট হাজার প্রান্তিক খামারি দুই লক্ষাধিক গরু হাটে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরমধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লার হাটগুলোতে ভারত থেকে গরু প্রবেশের শঙ্কায় পড়েছেন খামারিরা।
প্রান্তিক খামারিরা জানিয়েছেন, তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু পালন করে হাটে তুলবেন। কোরবানির জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালনপালনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই তুলনায় হাটে এবারে গরুর দাম কিছুটা বাড়তি থাকবে। কিন্তু ভারত থেকে গরু আসলে দেশিয় গরুর বাজারদরে এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে তাদের লোকসান গুণতে হবে। এরসাথে এবারে কুমিল্লার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু স্থান পেতে পারে এমন শঙ্কায়ও রয়েছেন তারা।
কুমিল্লার প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে প্রায়ই আসে ভারতীয় গরু। কিন্তু কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ওপারের গরু এপারে আসার হিড়িক পড়ে। এবারেও এমন আশঙ্কা করছেন খামারিরা। এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভারত হতে এবার যাতে গরু না আসতে পারে সে ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমরা কড়াকড়িভাবে বিষয়টি মনিটরিং করছি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথেও এবিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লায় এবার ২ লাখ ৪৮ হাজার পশু কোরবানীর চাহিদা আছে। তার বিপরীতে পশু রয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। প্রায় ৮১টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে চাহিদামত সেবা দিবে। সঠিক পদ্ধতিতে পশু জবাই, চামড়া ছাড়ানো সংরক্ষণ বিষয়ে ৪৪৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
খামারিরা জানান, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খৈল, ভ‚ষি, ব্যান্ড গুঁড়া, চালের খুদ ও খড় দিয়ে গরু লালন-পালন করা হয়েছে। খাবারের দাম বেশি। তাই এবার দাম কিছুটা বাড়তি থাকবে। এদিকে ভারত থেকে যাতে গরু আসতে না পারে এজন্য সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রান্তিক খামারিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন