লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরি হাট ফেরী ঘাট ইজারা নিয়ে দু- ইজারাদারের মুখোমুখি অবস্থানে নৌ-বন্দর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে । যে কোনো সময় দুই ইজারাদারদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, দুই দপ্তর থেকে ইজারা নিয়ে দু পক্ষ ইজারাঘাট এলাকায় পাল্টাপাল্টি অবস্থান করতে দেখা গেছে। এদিকে দুই ইজারাদারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নৌ ঘাট এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। যে কোনো সময় দু গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কা করছেন স্থানীয় চররমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও এলাকাবাসী ।
ইজারাদার ইসমাইল হোসেন পাঠান জানায়, তিনি গত বছরও জেলা পরিষদ থেকে ঘাট ইজারা নিয়ে সুনামের সাথে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ইজারা আদায় করে আসছেন। ৩০ জুন ইজারার মেয়াদ শেষ হলে তিনি আবারো নতুন করে ঘাটের ইজারা নেন। যেহেতু তিনি বৈধ ইজারাদার মহমান্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনিই ইজারাঘাট ভোগ করবেন এবং টোল আদায় করবেন বলে দাবী করেন তিনি।
অপর ইজারাদার শিমুল চক্রবর্তী জানান, তিনি এই ফেরীঘাট টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বি আই ডব্লিউ টি এ) থেকে ইজারা নিয়েছেন। একই সময় জনৈক ইসমাইল হোসেন পাঠান অন্যত্র থেকে ইজারার নেন। এতে করে তিনি মহমান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন । আদালত ইসমাইল পাঠানের নেওয়া ইজারা চুক্তিটি ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে বিভাগীয় কমিশনার অফিসের কবুলিয়ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। এখন তিনি ফেরিঘাটের প্রকৃত ইজারাদার এবং বি আই ডব্লিউ টি এ এর চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরির হাট এলাকা থেকে ভোলার ইলিশাঘাট নৌ পথের টোল আদায় করবেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে দুই ইজারাদারদের বিবাদমান এ জটিলতায় আসন্ন কুরবানী ঈদে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলা বরিশালগামী যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানির সম্মুখীন এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিষয়টি সম্পর্ক তারা অবগত রয়েছেন। ঈদমুখী যাত্রী সাধারনের ভোগান্তি ও সকল অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন