নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আ.লীগের কর্মী সভায় জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও জামপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়য় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশ কয়েকবার সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও সমর্থকবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে আবারো সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলা আ.লীগের কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন আ.লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বিকালে মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে জামপুর আ.লীগ। কর্মী সভা চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকার কারণে নেতাকর্মীরা স্কুলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন। সম্মেলন শেষের দিকে মঞ্চের পেছনে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলুর এক সমর্থককে মারধরের সূত্র ধরে সংর্ঘষ শুরু হয়।
পরে শিপলুর লোকজন লাঠিশোটা নিয়ে এগিয়ে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষ শুরু হয়। সংর্ঘষে শিপলুর সমর্থক তাসফি ও ইমনকে জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডাক্তার বিরুর লোকজন ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। অপরদিকে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে সংর্ঘষে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি পরে মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তারাহুড়ো করে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করে মঞ্চ ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু জানান, ডাক্তার বিরু’র লোকজন তার নেতাকর্মীদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তার নেতাকর্মীরা মারাত্মক আহত হয়েছে।
এ ব্যাপরে স্বাচিপের সাবেক সাংগঠনিক ডাক্তার আবু জাফর বিরু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সংর্ঘষ শুরু সাথে সাথে পুলিশ বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্তণে আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন