ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে বন্যার পানিতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বন্যার পানির সাথে সাপগুলো ভেসে আসেছে বলে মনে করছে অনেকে। উপজেলার সর্বত্রই এখন সাপ আতংক বিরাজ করছে।
গত ২৮ জুন বেলা ১১টার দিকে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার খোকন মিয়া মাছ ধরতে গিয়ে একটি বিষধর সাপ দেখতে পেয়ে তার হাতে থাকা মাছ শিকারের সল দিয়ে ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা একটি ঘুগরা সাপ মেরে ফেলেছে।
ঐদিন রাত সাড়ে ৯ নয়টায় নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল ও আনন্দপুর গ্রাম থেকে বিষাক্ত সাপের উপদ্রবের কথা জানায়।
দাঁতমন্ডল গ্রামের এক মৎস্য শিকারি জানায়, মাছ ধরার সময় পর পর দুটি বিষাক্ত সাপ দেখতে পেয়ে মাছ শিকারের অস্ত্র দিয়ে দুটি সাপকেই মেরে ফেলেন। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া অনেক বাড়ি ঘরেও এখন বিষাক্ত সাপের আশ্রয় রয়েছে বলে অনেকেই ধারনা করছে। অনেক গ্রামে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও সাপের ভয়ে এখন মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
গত ৩০ জুন নাসিরনগর সদরের ঠিকাদার আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, আনন্দপুরের নিকট তার একটি ফিশারি রয়েছে। গত ২দিন ফিশারি থেকে দু’টি বিষধর খোবরা সাপ মেরেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ে কেউ ফিশারিতে কাজ করতে যাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছে উপজেলার বন্যাকবলিত গ্রামবাসী ও ফিশারি মালিকগণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন