শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চা বিক্রির পয়সায় চলে রাসেলের লেখাপড়া

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম



নওগাঁর আত্রাইয়ে দরিদ্রতার শিকলে আবদ্ধ মেধাবী ছাত্র রাসেল দরিদ্রতার কষাঘাতে সারা দিন দোকানে চা বিক্রি করে লেখাপড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সংসারের খরচ চালাতে বেছে নিয়েছে চা বিক্রয়ের ব্যবসা। হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে রাসেলের বাবা তাদের সংসারের খরচসহ তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল, তার লেখাপড়া প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছিল, রাসেল তখন দরিদ্রতার কাছে নতিস্বীকার না হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট থেকেই বেছে নেয় লেখাপড়ার পাশাপাশি চা বিক্রির ব্যবসা। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শামছুর রহমানের পুত্র রাসেল অভাবের সংসারে বসবাস করেও তার মনের ইচ্ছা সে লেখাপড়া করে চাকরি করবে। তারই ধারাবাহিকতায় দরিদ্রতাকে হার মানিয়ে ছোটবেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি পিতার চায়ের দোকানে সহযোগিতা করতে থাকে। এক সময়ের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছোট শিশু শিক্ষার্থী রাসেল এখন ভবানীপুর জিএস উচ্চবিদ্যালয় থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। উপজেলার ভবানীপুর বাজারে রাসেলের চায়ের দোকানে তার সাথে আলাপচারিতায় জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া এ উদ্যমী যুবক রাসেল চা তৈরিকালে হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলে, আমাদের দুঃখের সংসার মা, বাবা, ভাইসহ ১২ সদস্যের সংসার তাদের। চা বিক্রি করে দিনে ৪/৫শ’ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে মা, বাবা, ভাই ও নিজেসহ সংসারের খরচ ছাড়াও লেখাপড়ার কাজ চলে। সে আরও বলে তার স্কুল যাওয়ার সময় হলে তার পিতা দোকান দেখাশুনা করে। আর্থিক দৈন্যতা থাকলেও মনের জোরে এতটা পথ অগ্রসর হয়েছি। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। ভবিষ্যতে জীবন চালাতে কোনো এক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাব এতটুকু আশা আমার রয়েছে। রাসেলের সম্পর্কে ভবানীপুর জিএস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান জানান, রাসেল দরিদ্র হলেও সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তার লেখাপড়ার আগ্রহ অন্য ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও তাকে আলাদাভাবে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন