শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুর্গাপুরের পর কলমাকান্দা সড়কও যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলার অতিব গুরুত্বপূর্ণ শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি-দুর্গাপুর সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় পর এখন নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কটিও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হতে যাচ্ছে। এতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি দুর্গাপুর কলমাকান্দা উপজেলার লাখ লাখ জনসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী জনসাধারণের অভিযোগ, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যদের অপূর্ব লীলাভূমি দুর্গাপুর থেকে চীনা মাটি, সিলিকন বালি ও কয়লা নিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক দুর্গাপুর-বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়ক দিয়ে সারা দেশে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলা এবং পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের অধিক মুনাফালোভী মানসিকতার কারণে মাত্রাতিরিক্ত মালামাল নিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ট্রাক ও লড়ি চলাচল করায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে এ সড়কটি ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুর-বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়ক যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় দুর্গাপুর-কলমাকান্দা-নেত্রকোনা সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের চাপ পড়েছে। এতে করে কলমাকান্দা-নেত্রকোনা সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার অচল হতে চলেছে কলমাকান্দা-ঠাকুরোকোনা-নেত্রকোনা সড়কটিও। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে মাটি ভরাটের মাধ্যমে যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করা হলেও প্রায়শই ফেঁসে যাচ্ছে ভারী যানবাহন। রোগী নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন স্বজনসহ যাত্রীবাহী গাড়ির চালকরাও। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দেন তিন ঘণ্টায়। এমন দশা বিরাজ করছে প্রায় বছর খানেক ধরে। তবুও নড়ছে না কর্তৃপক্ষের টনক এমনটাই জানালেন কলমাকান্দা সড়কের বাসের যাত্রী জব্বার আলী। সরেজমিন দেখা গেছে, ঠাকুরাকোনা থেকে কলমাকান্দা ২১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩/৪টি এলাকার প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার সড়ক ইতোমধ্যে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। উড়াদিঘী, পাবই, হীরাকান্দা, বাহাদুরকান্দাসহ বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বাস চলাচলে যাত্রীরা থাকেন আতঙ্কে। প্রায় প্রতিদিনই সড়কে ট্রাক ফেঁসে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বলে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। এতে করে দুর্গাপুরের বালু বোঝাই ট্রাকগুলো চলে রাতের আঁধারে। ট্রাক চালকরাও তাদের ক্ষতি পোষাতে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে মাত্রাতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করেন বলে জানান, চালক খালেক। এ সড়কে চলাচলরত সামছু মিয়া, শহীদ মিয়াসহ যাত্রী সাধারণের অভিযোগ রয়েছে, শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কটি অচল হবার পর পরিবহণের চাপ বেড়ে যায় এ সড়কে। ফলে প্রতিদিনেই ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। আর প্রতিদিনই এ সড়কে যানবাহন বিকল হচ্ছে, যাত্রীরা চলছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। শ্রমিকদের শহরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে খরচ হচ্ছে অধিক টাকা। অতি দ্রুত পুরো সড়কটি সংস্কার করা না হলে বন্ধ হয়ে যাবে সীমান্ত অঞ্চলের সব ধরনের যোগাযোগ। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল আলম তরফদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শোনালেন আশার বানী। তিনি বলেন, শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি-দুর্গাপুর সড়কটি ১২ থেকে ১৮ ফিটে উন্নীত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একনেকের বৈঠকে ৩১৬ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন