শতাব্দির ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। উপজেলার উত্তর সিমান্ত দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহমান সুরমা নদীর পানি এই অঞ্চলে প্রবেশ করে মানুষের ৫০ বছরের গড়ে উঠা সংসার তছনছ করে দিয়েছে। এবারের টানা ৯ দিনের বন্যায় বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে রাস্তা-ঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের ঘর-বাড়ি। বানের পানির ভয়াবহ স্রোতে ধসে গেছে বহু বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মন্দির, রেল সড়ক, পাকা সড়ক, সেতুর এপ্রোস, গবাদি পশু, পুকুর ও খামারের মাছ। প্রাণহানির ঘটেছে ৬ জনের। এখনও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন দুর্গত পরিবার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ, অলংকারি, দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে আছে। বিশেষ করে উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েটি সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে জন দুর্ভোগে রয়েছেন পুরো উপজেলাবাসি।
এদিকে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বন্যার আক্রমণে গোটা উপজেলা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও জেলা প্রশাসকের তালিকায় নেই বিশ্বনাথের নাম। গণমাধ্যম ও ফেসবুকে বন্যার ভয়াবহতা প্রকাশের পর সেবাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা ত্রান বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এখন সরকারি বেসরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা ও পুনবাসন শুরু করা না হলে মানবিক বিপর্যয় চরম অবস্থায় পৌছে যাবে। হাওরেও ফসলের কোন চিহ্ন নেই। বন্যায় হাজারও পরিবার এখন দিশেহারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান ইনকিলাবকে বলেন, পুর্ণবাসনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও উপজেলা পরিষদ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজারের মতো একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি সড়ক ভেঙে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ধীরগতিতে পানি কমছে, তাই পুরো খবর এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন