শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় ১২ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা ব্রাক অফিসের উত্তর পাশে নুনখোলা-নওকুচি সীমান্তবর্তী বানাইপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তা। যা সংস্কারের অভাবে ১২ গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের নুনখোলা থেকে কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি সীমান্তের বানাইপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এই কর্দমাক্ত রাস্তা। এ রাস্তায় ডেফলাই, গান্দিগাও, রাংটিয়া, শালচুড়া, নওকুচি, হালচাটি, গজনী, ফুলহাড়ি, ডাকাবর, নুনখোলা, ভালুকা ও ঝিনাইগাতীসহ ১২ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে লেংটি মেড়ে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরেও কাঁচা রাস্তাটি পাকা বা সংস্কার করা হয়নি। ফলে বাস্তব অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বানাইপাড়া যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। শালচুড়া গ্রামের সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ও কাংশা ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন জানান, এ রাস্তার চারপাশে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ২টি, কিন্ডারগার্টেন ৫টি ও মাদরাসা রয়েছে ৪টি। শুস্ক মৌসুমে কষ্টে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে কার্দমাক্ত রাস্তায় চলাচলে কাঁদাযুক্ত পানিতে ভিজে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যেতে হয়। শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কর্দমাক্ত রাস্তাটিতে যানবাহনতো দূরের কথা পায়ে হেটে যাতায়াত করাও দস্কর। নুনখোলা গ্রামের শাহজামাল ও আবু সালেহ বলেন এ রাস্তার দূরবস্থার কারণে কৃষক উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত ও গবাদিপশু নিয়ে চলাচলে মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এলাকাবাসি রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন। নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ফর্সা বলেন, রাস্তাটি আমার আমলে পাকাকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পাস হওয়ার আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্ভব হয়নি। রাস্তাটি বর্তমানে এলাকাবাসীর জন্য মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের স্বার্থে হলেও সংস্কার ও পাককরা প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে জনগণ এ দাবি করে আসলেও পিআইও বা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার কেউ এ দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না।
জানতে চাইলে এলজিইডির অফিস সূত্র বরাবরের মতই জানায় ঝিনাইগাতী শেরপুর উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তাটির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে। এ বক্তব্য বরাবরের হলেও রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা হয়নি স্বাধিনতার ৫১ বছরেও। ফলে রাস্তাটি আদৌ সংস্কার অথবা পাকা করা হবে কিনা এ নিয়ে জনমনে হতাশা-সন্দেহ-সংশয় বেড়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন