শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাবিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে থাকবে প্রশাসনের

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ১:০৯ পিএম

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ৬ জুলাই। তবে এ দিবসকে ঘিরে রাবির বুকে নেই কোনো আলোকসজ্জা বা জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন । দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও করোনার প্রকোপ বাড়ায় এবারের আয়োজন শিথিল রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবছরই জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবছর দিবসটিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়নি। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বাজেটের টাকা আর্ত মানবতার কথা চিন্তা করে বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার স্বীদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবসটি উপলক্ষে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়াও সকাল ১০ টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন, ১০.১০ মিনিটে উদ্বোধন (বেলুন,ফেস্টুন ও পায়রা অবমুক্তকরণ), সকাল সোয়া ১০টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আলোকসজ্জা ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান না থাকায় কিছু শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এমন মানবিক সিদ্ধান্তের সাদুবাদ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রমজান আলী বলেন, ক্যাম্পাসে এটাই আমার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। এমন দিনে চোখে পড়ার মত বিশেষ কোনো আয়োজন নাই। কিন্তু যখন শুনলাম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বাজেট দিয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করা হবে। নিশ্চয়ই এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।'

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর টাকা দিয়ে যদি বন্যার্তদের দিকে হাত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে থাকে তাহলে আমি তার পক্ষে। কিন্তু প্রশাসনের উচিৎ হবে যত দ্রুত সম্ভব এই টাকাগুলো নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, বন্যা পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এ বছর আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শিথিল করেছি। নির্ধারিত বাজেট থেকে আমরা কিছু টাকা খরচ করেছি বাকি টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। কত টাকা আমাদের বাঁচলো সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে হিসাব করে আমরা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিব।

আলোকসজ্জা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, এবছর আলোকসজ্জা না করার পিছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য আছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বাজেট থেকে বেঁচে যাওয়া টাকা বন্যার্তদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এছাড়াও সারাদেশে বর্তমানে যে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছে। এই বিষয় দুটি বিবেচনায় আমরা এবছর আলোকসজ্জা বন্ধ রেখেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন