লোহাগাড়ায় লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। সপ্তাহে দু-একবার আগাম মাইকিং করে ৭/৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এতে জন-জীবণে নানা ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে খাবার পানি, গোসলের পানি, অজুর পানি। কারণ এখন আগের মতো টিউরওয়েল বা চাপকল নেই বললেই চলে। আর এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিচ্ছন্ন পুকুরও নাই। মাঝে মধ্যে দুএকটা দূরে বড় পুকুর থাকলেও পুরুষ গিয়ে গোসল করতে পারলেও মহিলারা পর্দার জন্য যেতে পারে না। আর কিছু কিছু মসজিদে পুকুর একদম নেই সম্পূর্ণ মোটরের পানির উপর নির্ভর করতে হয়। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে টাংকির পানি ফুরিয়ে যায়। ফলে নামাজের সময় ওজু করতে না পেরে মুসল্লিরা হতাশ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা কম্পিউটার দোকানদার আয়াতুল্লাহ আয়মন বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। মাইকিং করেছে এটা আমি লোক মুখে শুনেছি। হয়তো মাইকিং মেইন রোড-এ করেছে কিন্তু ভেতরে যাইনি। এইভাবে প্রতি সপ্তাহে শুত্রু-শনিবারে বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতে প্রতিদিন দু-তিনবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে, ৩০/৪০ মিনিট পর আবার আসে। আমি ছোট্ট কম্পিউটার দোকানদার বিদ্যুৎ ছাড়া আমার একদম চলে না। যার কারণে আমার ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। লোহাগাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আবছার বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে মহা সমস্যায় আছি। গত শুক্রবারে মাইকিং করেছে শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না, কিন্তুু শনিবার সকাল প্রায় ৪ টায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে, এতে বাড়িতে খাবার পানি নিয়ে রাখতে পারে নাই। লোহাগাড়া রশিদারপাড়ার বাসিন্দা কামাল বলেন, বিগত দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ-এর সমস্যা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফ্রিজের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কিন্তুু বিদ্যুৎ বিল ঠিকই বাড়তি, কমে না। না জানি সামনে কোরবান, এরকম থাকলে তো ফ্রিজে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাবে।
এ ব্যপারে লোহাগাড়া পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম মো. শাহজাহান বলেন, নতুন ৩৩০০০ হাজার ভোল্টেজ-এর কাজ চলতেছে, সেজন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি ইউএনও এবং এমপি মহোদয়কে হোয়াটসআপ-এ মেসেজ দিয়েছি। প্রতিদিন হয়তো ঝড় বাতাসের জন্য তারের উপর গাছপালা পড়লে সাময়িক বন্ধ থাকে। ৭টায় বলে ৪টায় বিদ্যুৎ চলে যায়, এটা ভিত্তিহীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন