সেতুর কাজে ধীর গতির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় লাখো মানুষ। হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা সড়কের নরসুন্ধা নদের ওপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর কাজ ফেলে রাখার কারণে। সেতুর কাজ করতে গিয়ে বহমান নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে ডাইভারসনে ভাঙনের কারণে বিকল্প পথে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে পথে চলাচল করে আসছে প্রতিদিন শতশত যাত্রীÑমালবাহি বাস-ট্রাক। বিগত বছর কাজে শুরু হলে ৩০ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ডাইভারসনের ভাঙনের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া উপজেলার লাখো যাত্রীর। ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে কাপাসিয়া-টোক হয়ে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের যোগাযোগের সহজ রাস্তা হওয়ার এ অঞ্চলের আগত যাত্রীদের চিরচেনা রাস্তায় এ অংশের ভাঙনের কারণে অনেকে বিকল্প রাস্তার খোঁজে পেছন ফিরে ১০ কিলোমিটার পাকুন্দিয়া গিয়ে আরো ২৫ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এদিকে সেতুর দু’দিকের দুটি গার্ডার নির্মাণের পর ১০ মাস বন্ধ রেখে আরেকটি গার্ডার নির্মাণ করার পর আবারো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ ফেলে রেখেছে।
সূত্রে জানা যায়, কাওনা সেতুর কাজ পাওয়া কিশোরগঞ্জের এস আলম নামের এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপজেলার হাজিপুর-গোবিন্দপুর সড়কের ১০কিলোমিটার রাস্তা খনন করে ২ বছর ধরে এভাবে ফেলে রেখেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৭৮০ মি: চেইনেজে ৪০মিটার দৈর্ঘের পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজের জন্য বিগত বছরের ১১ ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কের কাওনা এলাকার নরসুন্ধা নদের উপর ব্রিজটি নির্মাণে সাব-কন্টাক্ট হিসেবে কিশোরগঞ্জের এস আলম চুক্তিবদ্ধ হয়। যা সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ৩০ মে। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দুটি গার্ডার নির্মাণের পর থেকে ১০ মাস পর আরেকটি গার্ডার নির্মাণের পর আবারো কাজ ফেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অন্যত্র্য কাজ করছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জলসিড়ি পরিবহনের বাস ও মালপরিবাহী ট্রাক প্রায় ২০কিশোমিটার ঘুরে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সময় ও জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস আলমের সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারছে না। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দ্রুততম সময়ে কাজ সমাপ্ত না করলে চুক্তি বাতিল করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন