শেরপুরের উপজেলা শহরগুলোতে প্রধান সড়কেই পার্কিং করা হয় বাস-ট্রাক,অটোরিকশা-সিএনজি। এতে সরু রাস্তায় চলাচলে জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শেরপুর জেলার ৫ উপজেলারই চিত্র এটি।
উপজেলাসমূহের প্রধান সড়কে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বেটারিচালিত অটোরিকশা পার্কিংয়ে শেরপুর শহরে ও যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রধানসড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অঘোষিত স্ট্যান্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মূখে বাস ও অটোরিকশার স্ট্যান্ডের শব্দদূষণের শিকার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। যানজট ও শব্দদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগ নে’য়ার দাবি স্থানীয়দের। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জায়গা শহরের স্কুল-মাদ্রাসা মোড় এলাকা। যানবাহনগুলো শহরে রস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়েও যাত্রী উঠা নামা করাচ্ছে। ’রাস্তার রাজার মত’ । সিএজি অটোরিকশাগুলো ঠায় ঘুড়াতে গিয়ে, হর্ণ না দেয়ায় পথচারিরা হামেশাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সবচে বিপদজনক হচ্ছে দিনমজুর থেকে বেকার লোকদের হতে অটোরিকশার স্টিয়ারিং। বিপদজনক ট্রলিতো আছেই। কোন ট্রেনিং ছাড়া বাম-ডান চেনে না চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। ফলে রাস্তায় কেউ নিরাপদ নয়। ঝিনাইগাতীতে একমাত্র প্রধান সড়কই ভরসা। কোন কিল্প রাস্তা না থাকায় ফুটপাতে গাড়ি, রাস্তার ওপর গাড়ি,ওই রাস্তায়ই চলাচল করছে গাড়ি, জনসাধারণ চলাচল করবে কি ভাবে? এমন অবস্থা হলেও নেই কার্যকর ব্যবস্থা। ঝিনাইগাতী-শেরপুরসহ অন্যত্র এমন কি ঝিনাইগাতী থেকে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র সড়ক- প্রধান সড়কটি।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড,সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বেটারীচালিত অটোরিক্সা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহারে জনদুর্ভোগ চরমে। পরিবহনে অনেক গাড়ি দাঁড় করে রাখা হয় প্রধান সড়কে। এতে সড়কে যাতায়াতকারিদের ভোগান্তির শেষ নেই। ঝিনাইগাতী সরকারী হাই স্কুলের শিক্ষক এবং সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রিরা বলেন,তাঁদের ক্লাসে আসতে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রিরাও দুর্ঘনার শিকার হচ্ছে। ক্লাসেও লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। তারা এসব বাস সিএনজিচালিতও বেটারিচালিত অটোরিক্সা সরানোর দাবি জানান। উপজেলা শহরবাসী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই গড়ে ওঠা অঘোষিত বাস ও অটোরিকশার অবৈধ পার্কিংয়ে দীর্ঘদিন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করার ফলে প্রতিকার হচ্ছে না।
এলাকাবসী বলেন, প্রধান সড়কে শেরপুর-ঢাকাগামি বাস, অবৈধ অটোরিকশার স্ট্যান্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা প্রধান সড়ক থেকে অবৈধ পার্কিং বন্ধ ও সকল বাস সিএজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরানোর দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন