শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চলতি বছর টিকটক করতে গিয়ে প্রাণ গেছে ১০ জনের

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

চলতি বছরে টিকটক করতে গিয়ে ১০ জন তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনের বার্তা প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত কয়েক বছর ধরে চীনা শর্ট ভিডিও মেকিং প্লাটফর্ম টিকটক’র অপব্যবহার এতটা বেড়েছে যে, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভ‚ত হয়েছে। গত ৮ জুলাই নোয়াখালীর চাটখিলে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে গেলে সানজিদা আক্তার নামে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। সোমবার কুমিল্লায় চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক করতে গিয়ে পা পিছলে মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া টিকটককে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের মার্চে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত খুন হয়।
গত ২ মার্চ রাজবাড়ী জেলার কালোখালি উপজেলায় রেলব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে টিকটক করতে গিয়ে হোসেন (১৬) নামের একজন ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়। ৮ মে নড়াইলের কালিয়ায় টিকটক করতে বাধা দেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে সুমি আক্তার (১৯)। ১৬ মে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার শহরের লাল ব্রিজের অদূরে হৃদয় (১৫) নামে এক কিশোর টিকটক বানাতে গিয়ে কাটা পড়ে। ২২ মে নীলফামারীর সৈয়দপুরে টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় মুস্তাকিম ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরের।
গত বছর ২০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নির্মাণাধীন তিন তলা ভবনের ৭ থেকে পড়ে অনিল (১৪) বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তরুণ-তরুণীদের মৃত্যুর দায়ভার কোনওভাবেই টিকটক কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না। এর দায়ভার তাদের নিতে হবে।
এ ছাড়াও আরও অনেক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে টিকটক বানাতে গিয়ে, যার সঠিক কারণ নির্ণয় না হওয়া এবং প্রকাশ না পাওয়ায় নাম পরিচয় তুলে ধরতে পারছি না। গত বছরের টিকটক বানানোর প্রলোভনে ভারতে তরুণী পাচার হয়েছিল। গত বছরের জুন মাসে টিকটকের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকেও ধর্ষণ করা হয়। তাছাড়া পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে তার অন্যতম কারণ টিকটক।
গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টিকটক বাংলাদেশের লাইসেন্সধারী কোনও প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে অথচ সরকার এই প্লাটফর্ম থেকে কোনও প্রকার রাজস্ব পায় না।
সংগঠনটি বলছে, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে করে এই প্লাটফর্ম বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন