ঈদের ছুটি শেষ হলেও চট্টগ্রাম নগরীর সর্বত্রই এখনো উৎসবের আমেজ। ফাঁকা রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট। সরকারি অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমা খুলেছে। তবে তাতে উপস্থিতি কম। সেবাগ্রহীতাদের আনাগোনাও স্বাভাবিকের চেয়ে কম। চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলগুলোর বেশিরভাগ কল-কারখানা এখনো বন্ধ। ঈদের সরকারি ছুটির সাথে কয়েকদিন বাড়িয়ে কারখানাগুলো শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ছুটি পেয়ে ধীরে ধীরে নগরীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।
গতকাল বুধবার রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালগুলোতে নগরীতে ফেরা মানুষের স্রোত দেখা যায়। প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসা হয়। বাস টার্মিনালগুলোতেও নগরীতে আসা মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফিরতি পথে সড়ক-মহাসড়কে যানজট না থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। চালক, সহকারীরা বলছেন বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রী এনে ফিরতি পথে খালি বাস নিয়ে যেতে হচ্ছে। আর এ কারণে ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে। স্টেশন ও টার্মিনালে এসে বাসায় ফিরতে ফের গণপরিবহন সঙ্কটে পড়ছেন কর্মজীবীরা।
নগরীর বেশিরভাগ গণপরিবহন এখনো রাস্তায় নামেনি। পরিবহন শ্রমিকেরা রয়েছেন ছুটিতে। বাস, মিনিবাস, টেম্পু চলছে হাতেগোনা। অটোরিকশা এবং রিকশার সংখ্যাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। পরিবহন সঙ্কটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষে শুক্র শনি দুইদিন সরকারি ছুটি। রোববার নগরীর বেশিরভাগ কল-কারখানা চালু হবে। কর্মস্থলে যোগ দিতে আগামি দুইদিনে শ্রমিকরা নগরীতে ফিরে আসবেন। কল-কারখানার পাশাপাশি মার্কেট, বিপণি কেন্দ্র, দোকানপাট খোলা হলে আগামি রোববার নাগাদ ফের কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে বন্দরনগরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন