খাগড়াছড়িতে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ছয় সন্তানের জননী হালিমা (৩৫)। তিনি জেলার মহালছড়ি উপজেলার চৌংড়াছড়ি গ্রামের সামিউল আলীমের ২য় স্ত্রী। ১ম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করে হালিমাকে ২০১০ সালে বিয়ে করেন সামিউল।
হালিমা জানান, নাবালিকা অবস্থায় ফুসলিয়ে বিয়ে করার পর থেকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে সামিউল। নির্যাতনের কারণে সামাজিকভাবে বিচারে বহুবার অঙ্গীকার নামা দিয়েছিলেন সামিউল। কিন্তু এসব অঙ্গীকার নামা তোয়াক্কা না করে কিছুদিন ধরে সামিউল আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রতিদিনই মারধর করতে থাকে আমাকে। একপর্যায়ে সহ্য করতে না পারায় ৮ জুলাই বিকালে আত্মহত্যার জন্য বিষপান করি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমার ছেলে ও বড়ভাই আব্দল ছাত্তার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করার কারনে বেঁচে যাই।
হালিমা আরো জানান, জীবন বাজী রেখে এই মানুষরুপি অমানুষের সংসার করে আসছি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় স্বামী সামিউল কোন খোঁজ খবর নেয়নি বরং গত ১৩ জুলাই হাসপাতালে এসে আমাকে এবং আমার বড় ভাইকে নানান গালিগালাজসহ হত্যার হুমকি দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর মোটামুটি সুস্থ হলে ১৪ জুলাই হালিমাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সামিউলের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলীকে মোবাইলে সামিউল ও তার স্ত্রীর হালিমার ব্যাপারে জান্তে চাইলে বলেন, আইনের ঊর্ধে কেউ নয়, আমিও চাই আমার ছোট ভাইয়ের সুষ্ট বিচার হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন