কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ইচাগুড়া গ্রামের তাহমিনা আক্তার সুখি নামের এক মহিলা তাকে হয়রানি করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি। গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ইচাগুড়া গ্রামের আলাউদ্দিন বেপারীর মেয়ে তাহমিনা সুখির প্রথম বিয়ে হয় এনায়েতনগর এলাকার কাচারিকান্দি গ্রামের মাহাবুল মিয়ার সাথে। কিন্তু সেখান থেকে তিনি সেই স্বামীর সংসার ফেলে ইচাগুড়া গ্রামের মনির মৃধার সাথে সংসার শুরু করেন। সেখানেও স্থায়িত্ব না হয়ে কয়ারিয়ার সাপুড়ে আকবারের সাথে পুনরায় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর ইচাগুড়ার মনির মৃধাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে অবশেষে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। অপরদিকে সাপুড়ে আকবরকেও ছেড়ে অন্য একজনের সাথে বিয়েতে আবদ্ধ হলেও সাপুড়ে আকবরের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। আর বিয়ে এবং কথিত স্বামীদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার খেলায় মেতে ওঠে তাহমিনা সুখি। গ্রামবাসীর তথ্যমতে সে এ পর্যন্ত ১০/১২ জনের সাথে বিয়ে নামের ফাঁদ পেতে ১০/১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আব্দুস সালাম খানের স্ত্রী নুর জাহান (চামেলী) বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী রাজনীতি করে এবং বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে বালিগ্রাম ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন করেছে। সেখানে আমাদের প্রতিপক্ষরা হয়রানি করতে তাহমিনা সুখির মতো একজন মহিলাকে দিয়ে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করি। এব্যাপারে তাহমিনা সুখির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে গ্রামে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন