ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দলে দলে মানুষ ছুটে আসছেন শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। নানা বয়সের লোকজন এখানে এসে প্রকৃতি ও নানা সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে গারো পাহাড়। এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সুউচ্চ পাহাড়ি টিলা, পানির ঝর্ণা। যা একবার দেখলে বারবার আসার ইচ্ছে করে। আরদর্শনার্থীদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গড়ে তুলা হয়েছে গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্ক নামে দু’টি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে মানুষ এসে বিনোদন করে থাকে। বিভিন্ন উপলক্ষে নামে মানুষের ঢল।
এ ঈদেও এখানে প্রতিদিনই আসছে হাজারো মানুষ। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ক্যাবল কার, ঝুলন্ত ব্রিজ, জিপলাইন, সুইমিং পুল, প্যাডেল বোর্ড, সাম্পন নৌকা, আলোকের ঝর্ণাধারা নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। এতে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও আছে সুউচ্চ টাওয়ার, বিভিন্ন প্রাণির ভাস্কর্য, শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানাসহ নানা রাইটস তো আছেই। তাই এই ঈদে দর্শনার্থীদের ঢল নামছে পর্যটন কেন্দ্রটিতে।
এ ব্যাপারে দর্শনার্থী বৃষ্টি বলেন, আমরা ঢাকায় লেখাপড়া করি। মুক্ত স্থানে আসা সম্ভব হয় না। এই ঈদে গজনীতে এসে খুব ভালো লাগছে। এখানের পরিবেশও খুবই সুন্দর। অনেক কিছু দেখার আছে, আসলে এখানে না আসলে বুঝতেই পারতামনা জায়গাটা এতো সুন্দর। শিশু আব্দুর রহমান বলে, এখানে আমার বাবা, মা ভাই বোন সাবাই মিলে ঘুরতে আসছি। এখানে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক আছে। আমার খুব ভালো লাগছে।
ময়মনসিংহ থেকে আসা জাফর আহমদ জানান, শুনেছি গারো পাহাড় সুন্দর। কিন্তু এতো সুন্দর তা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। ঈদে এবার পরিবার পরিজনদের নিয়ে এখানে এসে আসলেই অনেক আনন্দ উপভোগ করলাম।
এখানে বিভিন্ন দোকানগুলোতেও বেড়েছে বেচাকিনা। আর দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন ইজারাদাররাও। এতে তারাও খুশি। গজনী অবকাশের ইজারাদার ফরিদ আহাম্মেদ জানান, আমরা করোনাকালীন সময়ে অনেক লোকসান দিয়েছি। এবার আশা করছি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। গত ঈদেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো অনেক। এ ঈদেও দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন। আর জেলা প্রশাসন গজনী অবকাশের অনেক উন্নয়ন করেছেন, এতে মানুষের আকর্ষণ আরো বেড়েছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল করিম জানান, আমরা এবার বেশ ভালই বেচা-কেনা করছি। আশা করছি এবার ক্ষতি পোষাতে পারবো। এ ঈদে স্ত্রী, সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ মানুষ আসছে গজনী অবকাশসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। প্রশংসা করছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন