লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর জেগে ওঠা নব্যার চরে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে সামিয়া আক্তার (১০) ও তার ভাই তাজমুল হোসেনের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাশ পুুলিশ রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর জেগে ওঠা নব্যার চরে কৃষক সুজন ঢালি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সম্প্রতি প্রতিবেশী আক্কাছ বেপারী ও বিলকিসদের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। জমি নিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। এর জের ধরে সুজনকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। সেসব হুমকিতে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটত সুজনের।
এদিকে শনিবার বিকেলে তিন সন্তান নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ির পাশের একটি দোকানে বাজার করতে যান সুজন। এরপর বড় সন্তানকে তার সঙ্গে রেখে সামিয়া ও তাজমুলকে নৌকায় উঠিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে দেন। এ সময় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ডুবে যায় আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। শনিবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। বাবা সুজন ঢালি অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার সন্তানদের হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।বক্তব্য জানতে আক্কাছ বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন