ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে দু-মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।
কিশোরী জানায়, সে ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। ঈদুল ফিতরের পরে বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে আসার পর থেকে উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মহেশচাতুল গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২২) তার কাছে মোবাইল নাম্বার চাইতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী বাবুকে মোবাইল নাম্বার দেয়। তারপর পর থেকে দু'জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বাবু মিয়া পেশায় একজন মুদি দোকানি।
ফোনে কথাবার্তা চলার এক পর্যায়ে বাবু মিয়া ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাতের বেলায় নিজের দোকানে নিয়ে আসে। সেখানে আনার পর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কের কথা মানুষকে বলে দেওয়ার কথা বলে ভয় দেখিয়ে প্রায় সময়ে তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। সেই সম্পর্কের এক পর্যায়ে কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। পরে অন্তঃসত্ত্বা এর কথা বাবু মিয়াকে জানালে বাবু মিয়া তা অস্বীকার করে এবং বাচ্চা নষ্ট করার জন্য নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। তারপর বিষয়টি কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়। বাবা তার মেয়ের এমন ঘটনা শুনে রোববার রাত ৮ টার দিকে মারা যায়। আর এদিকে কিশোরীর বাবা মারা গিয়েছে এমন খবর পেয়ে ধর্ষক বাবু মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এ ঘটনায় বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।
এবিষয়ে আঠারবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোল্লা মোজাহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে দেখি তার বাবা মারা গিয়েছে। যেহেতু বাবা মারা গিয়েছে তাই তাদেরকে বলে আসলাম দাফনকাজ শেষ করে অভিযোগ নিয়ে আসতে। যদি তারা অভিযোগ নিয়ে তাহলে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন