ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পারিবারিক কলহে এক কৃষক নিহত হয়েছে বলে থানায় একটি হত্যা মালা দায়ের হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ছোট তারাকান্দি গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম ও ছেলে আলাল মিয়ার সাথে শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার হয়। এক পর্যায়ে রহিমা বেগম বিল্লাল হোসেনের অণ্ডকোষ চেপে ধরে রাখে ও আলাল মিয়া ও তার স্ত্রী লিপা আক্তার এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। এ অবস্থার এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন মাটিতে পড়ে যায়। পরে ছেলে আলাল মিয়াই পিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার বিল্লাল কে মৃত ঘোষণা করলে লাশ রেখেই ছেলে আলাল মিয়া পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেয়ে আমেনা খাতুন ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসে। পুলিশ হত্যার খবর শুনে আজ সকালে হাসপাতাল থেকে বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠায়।
নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার সৎ মা রহিমা বেগমের সাথে পিতা বিল্লাল হোসেনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। রহিমা বেগম, আলাল ও তার স্ত্রী লিপা আক্তার মিলে মারধর করে তার পিতাকে হত্যা করেছে। নিহতের ছেলে দুলাল মিয়া জানান, তার সৎ মা রহিমা বেগম তার পিতার অণ্ডকোষ চেপে ধরাতেই মৃত্যু হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবীর হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের আটকের চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন